সুনামগঞ্জে ১৩ হাসপাতালে ঢুকেছে বন্যার পানি
সুনামগঞ্জের সরকারি ১৩ হাসপাতালে বন্যার পানি ঢুকেছে। এতে আউটডোরের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি পানিতে নষ্ট হয়েছে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। তবে ভর্তি রোগীদের রাখা হয়েছে দোতলায়। বিদুৎ ও বিশুদ্ধ পানি না থাকায় বিপাকে রোগীরা।
সুনামগঞ্জের কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালে অন্তত ১০০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ আসেন চিকিৎসা নিতে। তবে বন্যার কারনে হাসপাতালে আসতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। একই রকম অবস্থা জেলার বাকি ১২টি সরকারি হাসপাতালে।কৈতক হাসপাতালে পানি ঢোকায় আউটডোর চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে; ভর্তি ১৬ রোগীকেই রাখা হয়েছে দ্বিতীয় তলায়। এই বন্যা পরিস্থিতির মাঝেই হাসপাতালে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে দুই শিশু।
চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্যার মধ্যে ও তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তবে নষ্ট হয়ে গেছে তাদের অনেক চিকিৎসকা সরঞ্জাম ও ওষুধ।এদিকে, বন্যা দূর্গতদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে কৈতক হাসপাতালে পাঁচ তলা দুটি ভবন সহ পাঁচটি ভবন ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বিচ্ছিন্ন এই জনপদে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির পাশাপাশি চিকিসংকট ও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে এ জেলার বেশিরভাগ হাসপাতাল। তবে ঝড় বন্যা যাই হোক তা মাথায় নিয়েই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় হবিগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।সকালে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূইয়া জানান, আগামী ৪৮ ঘন্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও হিমালয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই সময় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, ধরলা ও দুধকুমারসহ বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।