

স্বপন রবি দাশ, নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বানিপাতা গ্রামে দুই সন্তানের জনক কৃষক জাবেদ মিয়া (২৬) নামের এক ব্যক্তিকে সন্ধ্যারাতে স্থানীয় দৌলতপুর বাজার থেকে গ্রামের বাড়ী বানিপাতা গ্রামে ফেরার পথিমধ্যে একদল অস্ত্রধারী দূর্বূত্তরা তাকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে এবং একটি হাত ভেঙে দেয়,এমনকি মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে তাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা৷তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি৷ তবে জাবেদ মিয়া এখনো শঙ্কামুক্ত নয় বলে তার চিকিৎসক পরিবারকে জানিয়েছেন বলে জানান৷ আহত জাবেদ মিয়া
গত ৪ দিনধরে জ্ঞানহীন অবস্থায় রয়েছেন বলেও তার পরিবার জানিয়েছেন৷তার ক্ষতবিক্ষত মাথায় ৫৫টি সেলাই ও ১টি হাত ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা৷ তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে বলেও পরিবার জানিয়েছেন৷ ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত অনুমান ৯টার দিকে৷ আহতের পিতা ওই উপজেলাে দীঘলবাক ইউনিয়নের বানিপাতা গ্রামের কৃষক তরাজ মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বলেন, তার ছেলে জাবেদ অত্যন্ত সহজ সরল প্রকুতির এবং সে ও পেশায় একজন কৃষক, তার ১ ছেলে ও ১টি মেযে শিশু সন্তান রয়েছে৷ ঘটনার দিন তার এক নিকটাত্মীয়ের কাছথেকে জাবেদ ১লক্ষ টাকা গরু কেনার জন্য নিয়ে আসার পথিমধ্যে রাস্তায় তাদের গ্রামের নিকটবর্তী নির্জন স্থানে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা একদল অস্ত্রধারী দূর্বূত্তরা তার ছেলের পথরোধ করে হামলা চালিয়ে জাবেদকে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত
করে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে৷ একপর্যায়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে রাস্তায় তাকে ফেলে যায়৷ ঘটনার পরপরই স্থানীয় পথচারী ও গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন৷ গত ৪দিন চিকিৎসা শেষে এখনো তার ছেলের জ্ঞান ফিরে আসেনি৷ এখনো সে শঙ্কামুক্ত নয় বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেছেন৷ তিনি এই ঘটনায় দোষীদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান প্রশাসনের নিকট৷ এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,ঘটনাটি আমরা শুনেছি,আমাদের পুলিশ সরেজমিন পরিদর্শন করেছে৷ আহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে৷