টিকা নিবন্ধন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে চায় চমেক
সক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। তাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকা নিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চমেক সূত্রে জানা গেছে, টিকাদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই কয়েক হাজার মানুষ ভোর থেকে লাইনে অপেক্ষায় থাকেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। অতিরিক্ত চাপের কারণে প্রতিদিনই বেশিরভাগ মানুষকে টিকা না নিয়েই ফিরে যেতে হয়। চমেক হাসপাতাল কেন্দ্রে এরই মধ্যে দেড় লাখের মতো মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। অথচ এই কেন্দ্রে টিকা পেতে ইতোমধ্যে আড়াই লাখের বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন। সক্ষমতার অতিরিক্ত চাপের কারণে এক থেকে দেড় মাস আগে নিবন্ধন করা অনেককে এখনও এসএমএস পাঠাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রতিদিনই বাড়ছে নিবন্ধনের সংখ্যা। এমন বাস্তবতায় সাময়িক সময়ের জন্য চমেক হাসপাতাল কেন্দ্রের টিকা নিবন্ধন বন্ধ রাখতে চায় কর্তৃপক্ষ। যা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে লিখিতভাবেও জানিয়েছে হাসপাতাল প্রশাসন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যে সংখ্যক মানুষ নিবন্ধন করে টিকার জন্য অপেক্ষা করছেন, এ সংখ্যা যদি আরও বেড়ে যায়, তাহলে টিকা পেতে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মানুষকে অপেক্ষা করতে হবে। ফলে সাধারণ মানুষ যেমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে, তেমনি হিমশিম খেতে হবে টিকাদান কর্মীদেরও। তাই সাময়িক সময় নিবন্ধন বন্ধ করা গেলে অপেক্ষমাণ নিবন্ধনকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা নিশ্চিত করা যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চমেক হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে চারটি বুথে টিকা দেয়া কথা। কিন্তু টিকা প্রত্যাশীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ বুথের সংখ্যা পাঁচগুণ বাড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাতেও সাধারণ মানুষের চাপ লেগেই আছে। এরমধ্যে বর্তমানে এ কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান অব্যাহত থাকলেও সীমিত আকারে প্রথম ডোজের টিকাও দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ টিকা নিচ্ছেন এ কেন্দ্র থেকে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ভ্যাকসিন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নিবন্ধন এত বেশি, এখন পর্যন্ত এসএমএস দিতে পেরেছি গত জুলাই মাসের দশ তারিখে যারা নিবন্ধন করেছেন, তাদের। বাকিদের এসএমএস পাঠানো যায়নি। প্রায় এক লাখ মানুষ অপেক্ষায় আছে। এরমধ্যে যদি আরও নিবন্ধন বেড়ে যায়, সার্ভারে চাপ বেড়ে যাবে। দেখা যাবে, সঠিক সময়ে এসএমএস পাঠানোর পরও নিবন্ধনকারী এসএমএস পাচ্ছেন না। এতে করে সাধারণ মানুষই ভোগান্তিতে পড়বে। সাধারণ মানুষের বিষয়টি চিন্তা করে সাময়িক সময়ের জন্য নিবন্ধন বন্ধ থাকলে, যারা অপেক্ষায় আছেন তাদের দ্রুত সময়ে টিকা দিয়ে দেওয়া যাবে। চিঠি পাঠানো হয়েছে, তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত আসেনি’।