রাঙ্গুনিয়ায় গৃহবধূ কর্তৃক অবরুদ্ধ পানি চলাচলের ড্রেন,বিপাকে এলাকাবাসী।
তৌহিদুল ইসলাম,রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ রাঙ্গুনিয়ায় ১৫ নং লালানগর ইউনিয়নের দুই নাম্বার ওয়ার্ড এর ফকিরপাড়া এলাকায় মুজিবুর রহমানের বসত ঘরের সীমানার পাশ দিয়ে ফকির পাড়া এলাকার জনসাধারণের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন স্থিত আছে। পূর্বে উক্ত পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের উপর মুজিবুর রহমানের বসত ভিটার পাকা সীমানা দেওয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করলে,স্থানীয় জনসাধারণ বাধা প্রদান করে,তখন মুজিবুর রহমান পাকা দেওয়ালের নিচ দিয়া পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিবে বলে জানান। কিন্তু পরবর্তীতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করে উক্ত পানি চলাচলের ড্রের উপর পাকা সীমানা দেওয়াল স্থাপন করে। উক্ত পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটি বন্ধ হওয়ার ফলে জন সাধারণে চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টিসহ এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।গ্রামবাসীসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মুজিবুর রহমানকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অনুরােধ করে।
কিন্তু তার পরেও পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থাই তিনি করে দেয়নি ।সময়ে বৃষ্টি পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফকির পাড়া এলাকার রাস্তা ঘাট পানিতে তলিয়ে গেলে ২৫/০৭/২০২১ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় স্থানীয় লােকজন উক্ত পানি নিষ্কাশনের পথটি পানি চলাচলের উপযােগী করে দেওয়ার জন্য ড্রেন স্থাপন করতে গেলে এলাকাবাসীর উপর চড়াও হন গৃহবধূ সাজু আক্তার (২৫), এবং মুজিবুর রহমানের শাশুড়ি, এসময় তারা এলাকাবাসীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পরবর্তীতে বিষয়টি সমাধানের জন্য একি তারিখে রাতে লালানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম মোস্তফা বাবুল,এই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাজী মঈন এবং একই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম সহ স্থানীয় এলাকার সাধারণ মানুষ মুজিবুর রহমানের বাসায় গেলে তার স্ত্রী সীমানা প্রাচীরের মেইন দরজা বন্ধ করে রাখেন এবং তিনি কারো সাথে কথা বলতে পারবে না বলে জানান। পরবর্তীতে বিষয়টি সমাধানের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে লালানগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।