জন্ম নিবন্ধন বিড়ম্বনা
মোহাম্মদ রেজাউল করিম (চট্টগ্রাম প্রতিনিধি):মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা তথ্য ভিত্তিক ডেটাবেইজ তৈরি এবং ইউনিক আইডি প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে জন্ম নিবন্ধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে, প্রয়োজন দেখা দিয়েছে অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের এবং এখানেই যত সমস্যা তা নিন্মে তুলে ধরা হলো।
১. অনেকের জন্ম নিবন্ধন হাতে লেখা।
২. অনেকের জন্ম নিবন্ধন কম্পিউটারে টাইপ করা।
৩. হাতের লেখা অনেক জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে নেই।
৪. অনলাইনে থাকা অনেক জন্ম নিবন্ধন ভুলে ভরা।
৫. অনেকের অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের বাংলা এবং ইংরেজি নামের সাথে কোন মিল নেই।
৬. অনেকের জন্ম নিবন্ধন বাংলা ঠিক আছে কিন্তু ইংরেজিতে কোন কিছুই ঠিক নেই।
এই সকল কাজ সঠিক এবং নির্ভুল ভাবে সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরী।
নতুন করে জন্ম নিবন্ধন সনদ নিতে অনেককেই ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষ।
সনদ পেতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি শর্ত। এসব শর্ত পূরণ করতে গিয়ে অনেকেরই হিম সিম অবস্থা। যাদের জন্ম ২০০১ সালের পর তাদের জন্ম নিবন্ধনের জন্য বাবা-মায়ের জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যাতে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করাতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন অনেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগে মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়েই যে কারও জন্ম নিবন্ধন করা যেত। গত পহেলা জানুয়ারি নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ায় সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করাতে গিয়ে আটকা পড়েন অনেক বাবা-মা। আগে তাদের জন্ম নিবন্ধন করতে হয়, তারপর হয় সন্তানের জন্ম সনদ।
নতুন নিয়ম সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০১ সাল এবং তারপর থেকে জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্ম সনদ পেতে হলে আগে তার মা-বাবার জন্ম নিবন্ধন করতে হবে। আর ২০০১ সালের আগে জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের জন্য মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিলেই হয়।
এ নিয়ম চালু হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ার কথা জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক।
জন্ম ও মৃত্যুর সনদ নিয়ে সারা দেশে অন্তত ৩২ জেলায় এ সমস্যা এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। চাহিদা অনুযায়ী সনদ না পাওয়ার কারণে বিদেশগামী অনেকেই তাদের পাসপোর্ট করতে পারছেন না। চাকরির আবেদনও করতে পারছেন না অনেকে।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস ধরে বিদ্যমান সার্ভার আপগ্রেডের কাজ চলছে। এ কারণে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ কারণে সার্ভারের গতি খুবই ধীর। ফলে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী সনদ দেওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া বছরের এই সময়ে এসে একসঙ্গে হাজার হাজার মানুষ সনদ চাওয়ার কারণে সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।