রাবিতে নিয়োগ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর ছাত্রলীগের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১২৫ নেতাকর্মীকে বিদায়ী ভিসি অনৈতিকভাগে নিয়োগ দিয়েছেন, এমন অভিযোগ তুলে দুপুরে মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়।আজ উপাচার্য আবদুস সোবহানের মেয়াদের শেষ দিন। সকাল থেকেই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি গাড়ি দেখা যায়। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেলা সোয়া দুইটার দিকে উপাচার্যের বাসভবন ছেড়ে চলে যান।
সকাল থেকেই প্যারিস রোড, প্রশাসন ভবন, শহীদুল্লা কলা ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, চাকরিপ্রত্যাশী সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছিলেন। সকাল থেকে সবার মুখে মুখে অ্যাডহকে নিয়োগের কথা ছড়িয়ে পড়ে।
দুপুর ১২টার দিকে মহানগর ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী শেখ রাসেল স্কুলের মাঠ থেকে প্যারিস রোডে শোডাউন দিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে আসেন। তারা প্রশাসন ভবনের পাশে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে অবস্থান নেন। এ সময় সেখানে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিপ্রত্যাশী সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, মাস্টাররোলের কর্মচারীর মুখোমুখি অবস্থায় চলে যান।
এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষ শুরু হয় দু’পক্ষের। পরে লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে মোতায়েন আছে বাড়তি পুলিশ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ইতিমধ্যেই ইউজিসি তদন্ত করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ কার্যক্রমসহ আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিতও হয়।
এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখতে উপাচার্যকে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই অ্যাডহকে ১৩৭ জনকে বিভিন্ন পদে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ দিয়ে বিদায় নিলেন উপাচার্য।
নিয়োগে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।