৬০ রানে আটকে দিয়ে ৭ উইকেটে জয়
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও শুরু হলো দারুণভাবে। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে দশ ম্যাচে কিউইদের হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। আজ প্রথমবার সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হারানোও হয়ে গেল। তাও আবার সর্বনিন্ম ৬০ রানের রেকর্ডে বেধে।
আর তাতে করে ৩০ বল হাতে রেখেই বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে গেল ৭ উইকেটে।কিউইদের দেয়া ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথমে দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর পর পাওয়ার প্লেতে আর কোনো ব্যাটসম্যানকে হারায়নি বাংলাদেশ। রানও অবশ্য খুব বেশি ওঠেনি। ৬ ওভারে রান ২ উইকেটে ২২।
তিন ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনারের বিদায়ের পর সাকিব আর মুশফিক মিলে ধীরেসুস্থে জুটি গড়ছিলেন। লক্ষ্য তো আর তেমন বড় নয়, এখানে আক্রমণাত্মক হওয়ারও দরকার নেই। ৭ রানে ২ উইকেটে হারানো বাংলাদেশকে ৯ ওভার শেষে লক্ষ্যের মাঝপথ পেরিয়ে নিয়ে যান দুজন। দশম ওভারের প্রথম বলে রচিন রবীন্দ্রকে চার মেরে সাকিব পৌঁছে যান ২৫ রানেও।
কিন্তু সে-ই শেষ! ওভারের পঞ্চম বলে লেট কাট করতে চেয়েছিলেন সাকিব, কিন্তু বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে ক্যাচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রবীন্দ্রর প্রথম শিকার হয়ে সাকিব ফিরলেন ৩৩ বলে ২৫ রান করে।
সাকিবের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ এসে ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়েছেন। আর ৩০ বল হাতে রেখেই পৌঁছে যান লক্ষ্যে।
এর আগে টাইগার বোলারদের সামনে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারল না! মাত্র ৬০ রানে গুটিয়ে গেল তাদের ইনিংস। আর এটাই নিউজিল্যান্ডের সর্বনিন্ম রানের রেকর্ড।
মাত্র কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটা (৬২) উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেটা ছিল সিরিজের শেষ ম্যাচ। নিজেদের ঠিক পরের ম্যাচে বাংলাদেশ সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড উপহার দিল নিউজিল্যান্ডকেও।
চতুর্থ ওভারে গ্র্যান্ডহোমকে আউট করার দুই বল পর আবারও উইকেটের দেখা পেলেন নাসুম। ৬ বলে ২ রান করা ব্লান্ডেলও তার আর্ম বলে বোল্ড আউট হন। আর এতেই ৫ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০ রান।
বল হাতে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন স্পিনাররা। প্রথম ওভারেই কিউই ওপেনার রাচিন রবিন্দ্রকে ফিরিয়েছেন মেহেদি হাসান। এরপর তৃতীয় ওভারে উইল ইয়াংকে বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান। চতূর্থ ওভারে নিউজিল্যান্ডকে জোড়া আঘাত দেন নাসুম আহমেদ। সাজঘরে ফেরান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও টম ব্লুনডেলকে।
দশম ওভারে আক্রমণে এসেই কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথামকে (১৬) ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পরের ওভারে ফের আঘাত হানেন সাকিব, কোল ম্যাকনচিকে ফেরান শূন্য রানে। পরে সাইফউদ্দিন ফেরান ১৮ রান করা হেনরি নিকোলসকেও। শেষ পর্যন্ত ৬০ রানে গুটিয়ে যায় তারা।