২০২২ সালের মধ্যে কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণের ঘোষনা দিলেন রেলমন্ত্রী
মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন খালেদ, বোয়ালখালী প্রতিনিধি: অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি কালুরঘাট নতুন সেতু আগামি ২০২২ সালের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। বুধবার (৭ অক্টোবর) সকালে কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। নানা জটিলতার পর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে প্রস্তাবিত নতুন রেল কাম সড়ক সেতু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এসেতু নির্মাণের স্থান পরিদর্শনে আসেন মন্ত্রী। রেলমন্ত্রী সকাল পৌনে ১০টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কালুরঘাট সেতু এলাকায় পৌঁছান। রেলওয়ের বিদ্যমান সেতু এবং প্রস্তাবিত নতুন রেলওয়ে সেতুর স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ২০২২ সালের মধ্যে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
তিনি বলেন, নানান জটিলতার কারণে সেতু নির্মাণের কাজ দীর্ঘসূত্রতায় পড়েছিলো। তবে সকলের আন্তরিকতায় সব জটিলতা নিরসন হয়েছে। প্রস্তাবিত সেতুতে ডাবল সড়ক ও দুই লাইন বিশিষ্ট রেল লাইন (ব্রডগেজ) থাকবে। প্রস্তাবিত সেতু নির্মাণে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন ও মানুষের মাঝে সেতু নিয়ে যে দ্বিধা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে তা দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ সফর করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ সেতুর উচ্চতা নিয়ে নৌ অধিদপ্তরের যে আপত্তি এসেছে তা অচিরেই আভ্যন্তরীণ বৈঠকেই সমাধান করা হবে।
পরিদর্শন শেষে কালুরঘাট আমতল এলাকায় এক পথসভা নিবার্হী অফিসার আছিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান, রেলওয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রণব চন্দ্র ঘোষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ভাইচ চেয়ারম্যান এস এম সেলিম, শামীম আরা বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক জহুরুল ইসলাম জহুর, প্যানেল মেয়র শাহজাদা এস এম মিজানুর রহমানসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) শাহাদাৎ হোসেন।