হামিম গ্রুপের জিএমকে হত্যার ঘটনায় পলাতক সুজন গ্রেপ্তার
হামিম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আহসান উল্লাহকে (৪৮) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পলাতক আসামি সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের মোট ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার সুজন মূলত আহসান উল্লাহর গাড়িচালক সাইফুলের সহযোগী নুর নবীর ঘনিষ্ঠ। তাকে সাইফুলও চিনতো। তাদের পরিচিত এহসান নামে আরেকজনসহ চারজন মিলে তারা হামিম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আহসান উল্লাহকে অপহরণের পরিকল্পনা করে।
আসামিদের মূল উদ্দেশ্য ছিল অপহরণ করে অর্থ আত্মসাতের। পরবর্তীতে নির্যাতনের একপর্যায়ে শ্বাসরোধে আহসান উল্লাহর মৃত্যু হয়। এরপর তুরাগ থানার আওতাধীন ১৬ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর সড়কের পাশের রাস্তায় মরদেহ ফেলে দেয় আসামিরা।
শনিবার (২৯ মার্চ) সুজনকে গ্রেপ্তারের ফলে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪ আসামিকেই গ্রেপ্তার করলো র্যাব-১। ইতোমধ্যে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।উল্লেখ্য, দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২৫ মার্চ রাজধানীর তুরাগের দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে হামিম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আহসান উল্লাহর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন দুপুরে তুরাগ থানার আওতাধীন ১৬ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর সড়কের পাশের রাস্তা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আহসান উল্লাহ তুরাগ থানার চন্ডালভোগ এলাকার বাসিন্দা মজিদ আহমেদের ছেলে। তিনি তুরাগ এলাকায় তার পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। সুরতহাল রিপোর্টে দেখা গেছে, তার মাথা, মুখমণ্ডল, হাতের আঙুল এবং পায়ে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে।