

সোহেল খান দূর্জয়,নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান মানিক ও হাফিজুর রহমান খানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে নেত্রকোনা সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্পিতা খানম সুমী ও সাধারণ সম্পাদক টিটু দত্ত রায়কে নির্বাচিত করে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (১লা মার্চ) নেত্রকোনা জেলা শহরের ঐতিহাসিক মোক্তারপাড়া মাঠে নেত্রকোনা সদর ও পৌরসভা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল এমপি, সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, মারুফা আক্তার পপি, নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সমাজ কল্যান প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপি, মানু মজুমদার এমপি, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, সাবেক যুব ও ক্রিড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এমপি।
আরো সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান খান রতন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর খান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ভজন সরকার, ইফতেখার উদ্দিন মাসুদ, শামসুর রহমান (ভিপি লিটন), মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অর্পিতা খানম সুমী সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংঘটনের নেতাকর্মী বৃন্দ।
দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিয়র রহমান খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেন, “দলের দুসময়ে নির্যাতিত, বিএনপি-জামাতের আমলে যারা জেল-জুলুমের স্বীকার হয়েছে তাদের কমিটিতে ভালো পদে রাখতে হবে। তাঁরাই দলের সম্পদ।”
নেত্রকোনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রাণেশ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জিএম খান পাঠান বিমল।
কোনও ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্মেলন সম্পন্ন হয়।
যে নেতৃত্ব শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবে সেই নেতৃত্বই গঠন করতে হবে। পিছনের দিকে না তাকিয়ে আগামী নেতৃত্ব যেন শক্তিশালী হয় সেদিকে প্রাধান্য দিতে হবে। প্রবীণ ও নবীনদের নিয়ে নারী নেতৃত্বের মূল্যায়ন করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। নেত্রকোনা সদর উপজেলায় আতাউর রহমান মানিককে সভাপতি ও হাফিজুর রহমান খানকে সাধারণ সম্পাদক এবং পৌরসভা শাখার সভাপতি পদে অর্পিতা খানম সুমী ও সাধারণ সম্পাদক পদে টিটু দত্ত রায়ের নাম ঘোষণা।
মঙ্গলবার(১মার্চ)বিকেলে নেত্রকোনার মোক্তারপাড়া মাঠে সদর উপজেলা ও পৌর কমিটির সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ সময় তিনি আরো বলেন বলেন, এই দুই কমিটিতে যেন রাজাকার, দেশদ্রোহী, মাদকসেবক, মাদক ব্যবসায়ী ও সমাজবিরোধীরা নেতৃত্বে জায়গা যেন না পায়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকের কমিটিতে হয়তো সকলের স্থান হবেনা এরপরেও সকলে মিলে একসঙ্গে পথ চলতে হবে। তিনি সুদীর্ঘ সময় সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়নের দিক এবং পাশাপাশি বিএনপির রাজনৈতিক দূর্দশা ও ব্যর্থতার দিকগুলো তুলে ধরেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য রকমের উন্নয়ন করেছেন। শেখ হাসিনার সরকার আছে বলেই দেশের এতো উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। আমাদের যত অর্জন দেখি- ভাষার অধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন সব কিছুই এসেছে আওয়ামীলীগের হাত ধরে এবং আওয়ামীলীগের হাত ধরেই আমরা স্বপ্নের সোনার বাংলায় পৌঁছে যাবো। শিক্ষা,বিজ্ঞান,প্রযুক্তিসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সকল শুভ কাজে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আসছে।
দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর নেত্রকোনার সদর উপজেলা ও ২৬ বছর পর পৌরসভা শাখার সম্নেলন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রাণেশ সরকারের সভাপতিত্বে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম খান পাঠান বিমল ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক অধ্যাপক ভজন সরকারের সঞ্চালনায় এই যৌথ সম্মলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান খান। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি।
পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ওবায়দুল হক রতন প্রমূখ।
সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রানেশ সরকার সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে প্রথম অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করে দ্বিতীয় অধিবেশনের বিরতিতে যান। সম্মেলনে জেলা উপজেলার হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি সম্মেলনকে প্রাণবন্ত করে। জাতীয় সংগীত শেষে পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়।
বিকেলে দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সভাপতি সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।