সিএমপির দুই ওসিসহ সাত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে একজন ব্যবসায়ীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে দুই দফায় ২৩ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) দুটি থানার ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন মুরাদের আদালতে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানান বাদীর আইনজীবী শহীদুল হক সুমন।
তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ৩৪৭, ৩৬৪, ৩৮৭, ৩৮৮ ও ১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের হয়েছে। মামলা গ্রহণ করে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারকে (প্রশাসন ও অর্থ) তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বাদী মো. ইয়াছিন নগরীর খুলশী থানার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকার মেসার্স ইয়াছিন এন্টারপ্রাইজ নামে রড-সিমেন্টের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক।
মামলায় আসামিরা হলেন- বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার, একই থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) প্রিটন সরকার, এসআই মো. আফতাব, এএসআই মো. ইব্রাহিম ও মিঠুন নাথ এবং কনস্টেবল সাইফুল ও রহমান।
এরমধ্যে আতাউর রহমান খোন্দকার বর্তমানে চান্দগাঁও থানার ওসি এবং প্রিটন সরকার বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি হিসেবে দায়িত্বে আছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে নুর মোহাম্মদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই আফতাব, এএসআই ইব্রাহিম ও মিঠুন এবং কনস্টেবল সাইফুল ও রহমান। এরপর মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় নেয়া হয়। সেখানে পরিদর্শক প্রিটন সরকারের কক্ষে বসিয়ে তার কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে ওই কক্ষে এসে ২০ লাখ টাকা না দিলে ক্রসফায়ারে হত্যার নির্দেশ দিয়ে চলে যান ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার। বিকেল ৫টার দিকে নুর মোহাম্মদ তার ভাইয়ের মাধ্যমে ১১ লাখ টাকা প্রিটনের হাতে তুলে দিলে তাকে ছেড়ে দিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেওয়া হয়।
এরপর গত ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে একইভাবে তাকে আবারও থানায় নিয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ১২ লাখ টাকা দেওয়ার পর তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায় জনতা ব্যাংকের সামনে নামিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি আইজিপি, চট্টগ্রামের রেঞ্জের ডিআইজি এবং সিএমপি কমিশনারকে লিখিতভাবে জানানো হয়।
এদিকে ঘটনায় জড়িত থাকা দূরে থাক উক্ত মামলার বাদী নুর মোহাম্মদকেও চিনেন না বলে জানিয়েছেন চান্দগাঁও থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার ও বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি প্রিটন সরকার।