সন্দ্বীপ পৌর মেয়র টিটুর নেতৃত্বে এবার সরকারী খাদ্য সামগ্রী বিতরন ও নানান কর্মসূচী,
জামসেদ আলম(সন্দ্বীপ প্রতিনিধি): করোনা ভাইরাস নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা দেশের মতন সন্দ্বীপেও লকডাউন।করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে সরকারের নির্দেশে ঘরে ঘরে অবস্থান করতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে স্বল্প আয়ের দিন মজুর, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য পৌর মেয়র জাফর উল্যা টিটুর নেতৃত্বে বিশেষ করে রিক্সা,ভ্যান,সিএনজি ও মাইক্রো ড্রাইভার চালকদের মাঝে সরকারী ত্রান তহবিল হতে বরাদ্ধকৃত খাদ্য সামগ্রি বিতরন করা হয়েছে আজ।এর আগেও তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লকডাউন পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতারণ করেছিলেন।যা সাধারণ মানুষের প্রশাংসা ভেঁসেছিলেন।পরে পৌর-অফিসের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ড ভিত্তিক বাজার ও ময়লাযুক্ত স্থান সমূহে জীবানুনাশক স্প্রে করন, প্রতিটি রাস্তার মোড়ে হাত ধোয়ার জন্য পানি ভর্তি ড্রামের মাধ্যমে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও সচেতনতা মুলক ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে।আজ ৫ এপ্রিল পৌরসভা চত্বরে সামাজিক সুরক্ষার জন্য গোলাকৃতি চিহৃ স্থাপনের মাধ্যমে নিদিষ্ট্য দুরত্ব বজায় রেখে পর্যাক্রমে মোট ২৫০ পরিবারে এ খাদ্য বিতরন করা হয়েছে।খাদ্য সামগ্রী বিতরনের সময় পৌর -কমিশনার সালমা বেগম,আলাউদ্দীন বাবলু, মাঈন উদ্দীন মহি ও পিআই’র প্রতিনিধি রতন ব্যানার্জী সহ পৌর অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।ত্রান সামগ্রী নিতে আসা কয়েকজন উপকার ভোগী জানান আমরা লক ডাউনের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়ায় এখন মানবতার জীবন যাপন করতে হচ্ছে। ছেলে মেয়েদের তিনবেলা অন্নের সংস্থান করা হয়ে পড়েছে খুবই কঠিন। তাই অর্ধাহারে অনাহারে জীবন কাটানো সহ পরিবারে বেড়ে গেছে ঝগড়া বিবাদ। অনেকে গ্রাম্য মহাজন থেকে উচু সুদে ঋন গ্রহন শুরু করেছেন। অনেকে নিজেদের দামী সামগ্রী বা সম্পদ বিক্রির চিন্তাও মাথায় আনছেন। এমতাবস্থায় লকডাউনের সময়কাল বাড়াতে হলে সরকার খাদ্য নিশ্চয়তা নিশ্চিত না করলে আমরা না খেয়ে মরতে হবে। আজকে মেয়র কর্তৃক খাদ্য সামগ্রী পেয়ে কয়েকদিনের জন্য স্বস্থি ফিরে পেলাম বলে ওনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।ত্রান বিতরন পরবর্তী এক স্বাক্ষাৎকারে মেয়র জাফর উল্যা টিটু বলেন, আমি করোনা প্রতিরোধে রোড স্প্রে করন ফেস্টুন স্থাপন, হাতধোয়ার ব্যবস্থা করেছি। আজ থেকে হাটবাজারে মানুষের দুরত্ব বজায় রাখার জন্য কমিশনারদের নিদ্দেশ দিয়েছি।এছাড়াও আপদকালীন সময়ের জন্য কিছু পন্য মজুদ রেখেছি যাতে তাৎক্ষনিক কিছু চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।