সন্দ্বীপ থানার এস আই কাউসারের লাথিতে ৫ মাসের গর্ভবতী নিপার গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হওয়া পথে
মোঃ ফায়েল মাহামুদ (সন্দ্বীপ প্রতিনিধি): চট্রগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার পৌরসভা ৮ নং ওর্য়াডে সিভিল পোশাকে আসামী ধরতে যাওয়া এস আই কাউসারের লাথিতে নিপার ৫ মাসের গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হওয়ার পথে। সন্দ্বীপ ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচার সাজানো মামলার আসামী কে ধরতে গিয়ে আসামীর গর্ভবতী বোন কে লাথি মারেন এস আই কাউসার যার ফলে গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হওয়ার পথে। সন্দ্বীপ পৌরসভা ৮নং ছিদ্দিকের বাড়িতে ঘটেছে এ ঘটনা এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য বাবুল মেম্বার জানান সন্দ্বীপ মেডিকেল চিকিৎসাধীন ছিল নিপা। পরের দিন নিপার অবনতি দেখে তাকে চট্রগ্রাম মেডিকেল রেফার করা হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। সন্দ্বীপ মেডিকেলে নির্যাতনের বর্বনা দিতে গিয়ে নিপা বেগম জানান হঠাৎ করে সিভিল পোশাকে আশা ৪ জন পুলিশের মধ্যে ৩ জন আমার ঘরে আসে এবং কাউসার নামে একজন আমাকে মারধর করতে শুরু করে শরীরের ভিবিন্ন জায়গায়। এক পর্যায়ে আমার পেটে লাথি মারার সাথে সাথে আমার গোপনাঙ্গ দিয়ে পানি ঝড়া শুরু করে আমি চিৎকার করে আমি গর্ভবতী জানালেও আমাকে মারতে থাকে তখন আমার মাও তাদেরকে বলে আমার মেয়ে গর্ভবতী মারতে নিষেদ করলেও ওরা আমার মাকেও মারধর করে। সন্দ্বীপ মেডিকেল সেন্টারের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে সন্তানের অবস্থা ভালো ছিল আজ অবস্থা অবনতি হলে ডাঃ ফজলুল করিমের সিদ্ধান্তে নিপাকে চট্রগ্রাম ম্যাক্স হসপিটাল পাঠান উন্নত চিকিৎসার জন্য। এ ব্যাপারে ডাঃ ফজলুল করিম বলেন অবস্থা অবনতি হয়েছে এবং বাচ্চার অবস্থা জানতে অনেক গুলা পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে তাই আমি রোগীকে চট্রগ্রাম রেফার করছি। সন্দ্বীপ থানার ওসি বশিউর রহমান আহম্মেদ খান ঘটনান সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনার সাথে জড়িত এস আই কাউছারকে আমরা অভিযানে পাঠাইনি এবং সে সিভিল পোষাকে সেখানে গিয়াছে সেটা প্রমানীত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে আমি ক্লোজড করছি। আজ সকাল এস আই কাউসার সন্দ্বীপ ত্যাগ পুলিশ লাইনে রির্পোট করবে। তিনি আরো বলেন আমি সন্দ্বীপ শান্তি রক্ষার জন্য এসেছি। তাই আমি তার বিরুদ্ধুে প্রাতিষ্ঠানিক কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবো এবং ক্ষতিগ্রস্থ মহিলার সকল ব্যয়ভার নিব।