লালপুরে গবাদিপশুর খাদ্য সংকট চাহিদা মেটাতে জমির কাঁচা ধান কেটে বিক্রয় করছে কৃষক
মো. আশিকুর রহমান টুটুল, নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে অতিবৃষ্টির কারনে গোচরণ ভূমি ও কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়া গবাদিপশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। অধিক দামে খড় কিনে গবাদিপশুর খাবারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বিপাকে পরেছেন এই অঞ্চলের চাষী ও খামারীরা। খাবারের চাহিদা মেটাতে জমির কাঁচা ধান কেটে বিক্রয় করছেন কৃষকরা। সোমবার (১২ অক্টোবর) সকালে দেখা যায় বাজারে ধানের চেয়ে গবাদিপশুর খাবার খড়ের দাম বেশি হওয়ায় ও খাবারের সংকট মিটাতে উপজেলার ওয়ালিয়া বাজারে একজন কৃষককে জমির তরতাজা কাঁচা ধান কেটে আটি করে বিক্রয় করছেন। স্থানীয় খামারীরা বলছেন,‘এবার দফায় দফায় অতিবৃষ্টিার কারনে গোচরণ ভূমি ও মাঠের সকল জমিতে পানি জমে থাকায় ঘাস, লতা-পাতা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে দেখা দিয়েছে গবাদিপশুর খাবারের অভাব। বাজারে শুখনো খড়ের দামও বেড়েছে আকাশ চুম্বি। তারা আরো জানায়,‘যে খড়ের আটি কিছু দিন আগেও ছিলো ২-৩ টাকা এখন সেই খড় কিনতে হচ্ছে প্রতি আটি ১১টাকা।
এছাড়াও লবন, ভূসি, আটা ও খৈল তো আছেই। এতে খামারীরা পড়েছে চরম বিপাকে তাই বাধ্য হয়ে গবাদিপশুকে বাঁচাতে আর কিছু দিন পরেই যে ধান কৃষক ঘরে তুলতো এখন অনেক কৃষকই সেই জমির কাঁচা ধান কেটে গবাদিপশুকে খাওয়াচ্ছেন।’ স্থানীয় কৃষক নাজমুল হক ও হাসিবুল ইসলাম জানান, ‘এখনো এক থেকে দের মাস পরে উঠতে শুরু করবে রোপা আমন ধান কিন্তু এখন মাঠে গবাদিপশুর খাবার পাওয়া যাচ্ছেনা। বাজারে খড়ের যে দাম তাতে খাবার কিনে গরু পালার উপায় নেই।’ কাঁচা ধান গাছ বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান,‘বাজারে গবাদিপশুর খাবারের ব্যাপক চাহিদা। তাই ধানের চেয়ে জমির কাঁচা ধান গাছের বেশি দাম হওয়ায় তিনি জমির কাঁচা ধান গাছ কেটে গবাদিপশুর খাবার হিসেবে বিক্রয় করছেন।’ ওয়ালিয়া বাজারের খর বিক্রেতা নিতাই জানান, ‘আগে খড়ের দাম কম ছিলো তাই কম দামে (২-৩ টাকা আটি) খড় বিক্রয় করেছেন। কিন্তু এখন খড়ই পাওয়া যাচ্ছে না তাই বেশি দামে কিনে ছোট আটি ৮ টাকা আর বড় আটি ১১ টাকায় বিক্রয় করছেন।’ লালপুর উপজেলা উপ-সহকারী প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম গবাদিপশুর খাদ্য সংকটের কথা স্বিকার করে জানান, ‘লালপুর উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ৭৭৬ টি গবাদিপশুর খামার রয়েছে।এবছর অতিবৃষ্টির কারনে খামারের গবাদিপশুর খাবার না থাকায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষী ও খামারীরা।’