

সৈয়দ মাহিন ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্থা ও মারধরের ঘটনার পুলিশ ২৪ ঘন্টা সময় চেয়েও আসামি তন্ময়কে গ্রেপ্তার করতে না পারায় ২ ঘন্টার আল্টিমেটাম বেধে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্যারিস রোডে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল (১২মার্চ) কাজলার পুলিশ ফাড়ি সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে শারীরিকভাবে হেনস্তা ও মারধরের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী। তার সাথে থাকা আরেকজন শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করলে হাতাহাতির সূত্রপাত হয়। 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, হেনস্তাকারীর রিলেটিভস বা ফ্যামিলি মেম্বারস যে যেখানে আছেন তাদের বাড়িগুলোতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। হেনস্তাকারী বর্তমানে গা-ঢাকা দিয়ে আছে কিন্তু সাংবাদিকরা যদি তার পর্যন্ত পৌছাতে পারে তাহলে পুলিশ কেন তার পর্যন্ত পৌছাতে পারছেনা এবং তাকে গ্রেফতার করতে পারছেনা এই প্রশ্নটা আমি পুলিশ কমিশনকে করতে চাই। শিক্ষার্থীরা ২ ঘন্টা সময় বেধে দিয়েছে ওই সময়ের বাইরে আমি আর নেগোসিয়েশন পর্যায়ে যেতে চাই না। হেনস্তাকারীকে পুলিশের গ্রেফতার করে থানায় এনে তারপর আমাদের জানাতে হবে।
ঘটনার ভুক্তভোগী বলেন, কালকে আমরা কাজলা গেইটের অপজিটে ইফতার কিনছিলাম। এসময় রাস্তা পারাপারের সময় একজন আমাদের ইভটিজিং করে। একপর্যায়ে আমরা ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করলে যে ইভটিজিং করেছে সে নয় বরং তন্ময় এগিয়ে আসে এবং আমার ফ্রেন্ডকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর আমি তার প্রতিবাদ করতে গেলে সে আমার চুলের মুঠি ধরে মারধর করে এবং আমার চশমা ভেঙ্গে ফেলে। তারপর তন্ময় রিক্সা নিয়ে পালানোর সময় তাকে আটকাতে গেলে সে কনুই দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। এরপর তার রিক্সার পিছে আমি ধাওয়া করলে ১০-১৫ হাত সামনে যেয়ে রিক্সার থেকে নেমে এসে সে আমার যে ফ্রেন্ড লাইভ করছিলো, তার উপর আঘাত করে এবং তাকে আহত করে। আমরা এর কঠোর বিচার চাই এবং ২ ঘন্টার মধ্যে তাকে গ্রেফতার দেখতে চাই।
মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বলেন, আসামি প্রযুক্তিকত বিষয়ে অনেক চালাক হওয়ায় আমরা দ্রুত তাকে ট্রেস করতে পারছি না। আমরা ৪০ মিনিট সময়ের মধ্যে তাকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করবো। উল্লেখ্য, ঘটনা চলাকালীন ফেসবুকে লাইভ করেন ইংরেজি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ফারহান মাহমুদ। ফারহানের লাইভ ভিডিও এর সূত্র ধরে নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করা ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করেছে শিক্ষার্থীরা।