মুনাফার লোভ দেখিয়ে কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা বরগুনার বেশকিছু এনজিও
বরগুনা : ৬০ হাজার থেকে লাখ টাকা জামানতের মাধ্যমে চাকরি। এরপর নিয়োগকৃতদের মাধ্যমে প্রায় তিনশো মানুষকে এক বছরে টাকা দ্বিগুণ অথবা এক লাখ টাকা জামানতে বিনামূল্যে পণ্য দেয়ার প্রলোভন। এভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও বরগুনার বেশকিছু ভুইফোড় এনজিও। যাতে প্রায় নিঃশ্ব কয়েকশো মানুষ। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, এসব ভূয়া এনজিওর বিষয়ে তদন্তের পর নেয়া হবে ব্যবস্থা।
বরগুনা সদরের এই ভবনটিতে মাস ছয়েক আগে দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে মোনাভি অল বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ইলেকট্রনিক সামগ্রী বিক্রির কথা বলে পৌরসভা থেকে সংগ্রহও করে ট্রেড লাইসেন্স। মোটা বেতনে নিয়োগ দেয়া হয় লোক। জামানত হিসেবে জনপ্রতি নেয়া হয় ৬০ হাজার থেকে লাখ টাকা।
পরে নিয়োগকৃতদের মাধ্যমে প্রায় তিনশো মানুষকে এক বছরে টাকা দ্বিগুণ অথবা এক লাখ টাকা জামানতে বিনামূল্যে পণ্য দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আদায় করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপরই হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটির কর্তাব্যক্তিরা।
শুধু এ প্রতিষ্ঠানই নয় এমন আরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এনজিওর নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতে মুনাফার লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বহু অর্থ।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকেই পাওয়া যায়নি। একই সাথে কিভাবে এধরণের প্রতিষ্ঠানকে পৌর কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয় তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।
বরগুনা পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, লাইসেন্স গ্রহন করার পরে কেউ যদি অনিয়মের আশ্রয় নেয় সেক্ষেত্রে পৌর কর্তৃপক্ষের করার কিছু নেই।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ভূঁয়া এনজিও ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সমাজসেবা ও সমবায় অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রেশনে বরগুনা জেলায় কাজ করছে প্রায় এক হাজারের বেশি এনজিও ও সংগঠন।