মামুনুলের ছয় মাদ্রাসা দুই বাড়ির খোঁজ
হেফাজতের সমালোচিত নেতা মামুনুল হকের ৬টি মাদ্রাসা ও দুইটি বাড়ির খোঁজ মিলেছে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনুসন্ধানে। এসব সম্পদের বাজারমূল্য প্রায় ৭৬ কোটি টাকা।
গোয়েন্দারা বলছেন, মাদ্রাসা ও মসজিদের নাম করে কোটি কোটি টাকা অনুদান গ্রহণ করেছেন তিনি। এগুলোর মধ্যে তার দুই হিসাবে ১০ কোটি টাকার লেনদেনেরও খোঁজ মিলেছে। দুদকের আইনজীবী বলছেন, মামুনুলের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ বা মানি লন্ডারিং করেছে কিনা সেটির তদন্ত হওয়া উচিতকাটা তাঁরে ঘেরা। ভেতরে বিশাল আম বাগান। সাথে সজ্জিত করা হয়েছে বিশেষ লাইট দিয়ে। দেখে মনে হতে পারে কোন বাগান বাড়ি। আসলে এটি মামুনুল হকের জামিয়াতুত তারাবিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা। এর জন্য ১৫ বিঘা জমি কিনেছেন তিনি। মাদ্রাসা দেখভালের দায়িত্বরতরা জানালেন জমি নিয়ে ঝামেলার কারণে হয় নি বাবরি মসজিদ।
কেরানিগঞ্জের ঘটারচরে তারাবিয়াতুল উম্মাহ নামের আরেকটি মাদ্রাসা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পরও খোলা ছিলো এ প্রতিষ্ঠান। তবে, মামুনুল গ্রেপ্তারের পর এটিও বন্ধ। তার বিরুদ্ধে অপকর্মের বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় সঠিক তদন্ত চান স্থানীয়রা।
মোহাম্মদপুরের বসিলায় মাদ্রাসা তারবিয়াতুল বানাত আল ইসলামিয়া। ৮ তলা ভবনের তৃতীয় তালায় এই মহিলা মাদ্রাসাতেও নেই আর কোন কার্যক্রম। দায়িত্বে থাকা কেউ কথা বলতে রাজি হলেন না।
ঢাকা উদ্যানে ৬ তলা জামিয়াতুল আজিজ আল ইসলামিয়া। আলী নূর রিয়েল এস্টেটে আছে এটির আরেকটি শাখা। এ দুটিও বন্ধ মামুনুলের গ্রেপ্তারের পর।
মোহাম্পদপুরের আলী এন্ড নুর রিয়েল এস্টেটে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা। প্রায় ১৪ কাঠা জমির ওপর নির্মাণ করা এ মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসাটি জোর করে দখলে নেয়ার অভিযোগ আছে মামুনুলের পরিবারের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও, কাদেরাবাদ হাউজিংয়ে আছে মামুনুলের ৬ তলা বাড়ি। এটিতেই থাকতেন তিনি। আর লালবাগের ৪ তলা বাড়িটি দিয়েছেন ভাড়া। মাদ্রাসা ও বাড়ি মিলিয়ে আনুমানিক ৭৬ কোটি টাকার সম্পদের মালিক মামুনুল। গোয়েন্দারা বলছেন, প্রত্যেক মাদ্রাসার অনুদান হিসেবে মামুনুলের হিসাবে দেশ ও বিদেশ থেকে এসেছে টাকা।
দুদকের আইনজীবীরা বলছেন, মামুনুলের হিসাবে লেনদেন সন্দেহজনক। মানিলন্ডারিং করেছে কিনা সেটির তদন্ত হওয়া উচিত।
তবে, মামুনুলের সন্দেহজনক লেনদেন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেনি সিআইডি ও দুদক।