মাধবপুরে মাদক ও চোরাকারবারির বাড়ি চিহ্নিত

Share the post

মোঃজাকির হোসেন,মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্তবর্তী গ্রামের মাদক ও চোরাকারবারিদের বাড়ি চিহ্নিত করার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বিজিবি। তাদের বাড়ির সামনে ‘মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি’; ‘চোরাকারবারির বাড়ি’ লেখা লাল রং এর ডিজিটাল সাইনবোর্ড দেখে হঠাৎ করে যে কারোর চোখ আটকে যাবে

মাধবপুর উপজেলার বহরা, চৌমুহনীসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি ইউনিয়নের মাদক ব্যবসায় জড়িতদের বাড়ি এভাবেই চিহ্নিত করে রাখতে দেখাযায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)কে।

জানা যায়, মূলত মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ি চিহ্নিত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ির সামনে ডিজিটাল ব্যানারের সাইনবোর্ড লাগিয়ে এ উদ্যোগ কার্যকর করছেন তারা।

সোমবার (১৫ নভেম্বর)সকাল থেকে হবিগঞ্জ ৫৫ ব্যাটালিয়নের মনতলা, হরিণখোলা ও রাজেন্দ্রপুর বিওপির সদস্যরা বিভিন্ন গ্রামের ১০টি বাড়িতে গিয়ে এ অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।

বিজিবি’র সকাল-সন্ধ্যা অভিযানে সারাদিন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে গিয়ে সীমানা প্রাচীর, বাড়ির রাস্তায় কিংবা, দেয়ালে লাল রং এর ডিজিটাল ব্যানারের সাইনবোর্ডে ‘মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি’ ও চোরাকারবারির বাড়ি’ লাগিয়ে দিয়েছেন।

বিজিবি কর্তৃক চিহ্নিত ১০টি বাড়ি হলো- মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের বলু মিয়া, রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আহাদ মিয়া, শ্রীধরপুর কবির মিয়া, চৌমুহনী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের ধনু মিয়া, রামনগর গ্রামের কাউছার মিয়া, রামনগর গ্রামের জয়নাল মিয়ার, রামনগর গ্রামের সফু মিয়া, কমলপুর গ্রামের স্বপন মিয়া, খালেক মিয়ার, জানু মিয়ার বাড়ি।

এ ১০ জন মাদক ব্যবসায়ী বিভিন্ন সময়ে মাদকসহ বিজিবির হাতে ধরা পড়ে।

বিজিবির এ অনন্য উদ্যোগকে সাদরে গ্রহণ করেছে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিজিবির মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সমাজে প্রত্যেকটি অপরাধীর মুখোশ এভাবেই উন্মোচন করা দরকার। এতে করে সমাজে ঘৃণ্য ব্যক্তিদের মুখোশ খানিকটা হলেও উন্মোচিত হবে।

বিজিবি’র এ উদ্যোগের ফলে বেশ সুফল মিলবে বলেও আশা প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একই সঙ্গে মাদক ব্যবসায় জড়িত প্রত্যেকের বাড়িতেই যেনো এভাবে চিহ্নিত কার্যক্রম অব্যহত থাকে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

বিজিবির পক্ষ থেকেও জানানো হয়, তাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চলতি মাসে এ উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখন খেকে নিয়মিত এ অভিযান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বিজিবির মনতলা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবু বকর, হরিণখোলা ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাদেক আলী এবং রাজেন্দ্রপুর ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার আ. হাফিজ এর নেতৃত্বে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ মাদকবিরোধী সচেতনামূলক অভিযানে গিয়ে বিজিবি’র পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাদক সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি এসব সাইবোর্ড যেন কেউ তুলে না ফেলে বা মুছে না ফেলেন সে বিষয়েও কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

এ কার্যক্রম সম্পর্কে বিজিবি হবিগঞ্জ ৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এন এম সামীউন্নবী চৌধুরী জানান, বিজিবির হাতে ধরা পড়া চিহ্নিত মাদক কারবারিদের বাড়িতে এভাবে সাইনবোর্ড লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ মাদক নির্মূলে সহায়তা করবে বলে তিনি আশা করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

দশ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, আসামি কারাগারে

Share the post

Share the postমো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির নলছিটিতে মাত্র দশ টাকার লোভ দেখিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জাকির হোসেন খান (৪৭) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।   মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে নলছিটি উপজেলার নাচনমহল এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত জাকির হোসেন খানকে আটক […]

ডিভোর্সের ৭ বছর পর মধ্যরাতে গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টা, আটক করে পুলিশে দিলো স্থানীয় জনতা

Share the post

Share the postচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ইয়াসিন আরাফাত : ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয় হাবিবা খাতুন (২৫) ও পিয়ারুল ইসলামের। এরপর স্বামীর নানারকম অত্যাচার ও শারিরীক নির্যাতনের কারনে বনিবনা না হওয়ায় হাবিবার পরিবার বিয়ের এক বছর পর বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে নেয়। এরপর আবারো পারিবারিকভাবে বিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে হয় হাবিবার। সাত বছরের সংসারে বর্তমানে দুই […]