“মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে হোপ ফাউন্ডেশন”
বর্তমানে আমরা সবাই এক ভয়াবহ সংকটময় পরিস্থিতিতে আবদ্ধ অবস্থায় দিনাতিপাত করছি।Covid-19 বা করোনা বর্তমান সময়ের এক ভয়াবহ মহামারি । যা খুব দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব এখন এক সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের দেশও লক ডাউন করা হয়েছে। আমরা প্রায় দু’মাস এই লক ডাউনে রয়েছি। এতে মানুষ তাদের স্বাভাবিক কর্মজীবন হারিয়েছে। এতে নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সবচেয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। নিন্মবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিংবা সেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে মুখ ফুটে সাহায্য নিতে পারছে। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর কথা কি আমারা একবার ও ভেবে দেখেছি? আর যারা চাকুরীজিবী, তারা কি তাদের এই দুমাসের বেতন -বোনাস পেয়েছে? যাদের পরিবার শুধু মাত্র এই চাকরির উপর নির্ভরশীল তারা কি করে দিন যাপন করছে?লোক লজ্জার ভয়ে হয়তো তারা কারো কাছে সাহায্য চাইতে পারছে না কিন্তু এই পরিস্থতিতে তাদের সাহায্যের অতি প্রয়োজন। গত কয়েক মাস ধরে হোপ ফাউন্ডেশনের ম্যাসেজ বক্সে প্রায় শ’ খানেক ম্যাসেজ এসেছে এবং আসছে,মানুষ সাহায্যের আবেদন করেছে প্রতিনিয়ত। আর তাদের এই দুর্দশার কথা মাথায় রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র যেমন-চাল,ডাল,আলু,পেঁয়াজ, তেল ইত্যাদি বিতরণ করে আসছে হোপ ফাউন্ডেশন করোনা প্রাদুর্ভাব এর প্রথম থেকেই। প্রাথমিক অবস্থায় হোপ ফাউন্ডেশন কতৃক পরিচালিত সুবিধাবঞ্চিতদের স্কুল “হোপ স্কুল” এর ৪০ টি পরিবারের পাশাপাশি আরো ৬০ টি পরিবার কে খাদ্য ও আর্থিক সহোযগীতা পৌছে দেই। পুণরায় হোপ ফাউন্ডেশন তাদের দ্বিতীয় মেয়াদের সাহায্য কার্যক্রম শুরু করেছে। মধ্যবিত্তপারিবারের কথা মাথায় রেখে তারা সাহায্যপার্থী পারিবার গুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে এবং এর সদস্যবৃন্দ যথেষ্ট সচেতনতা বজায় রেখে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সাহায্য কার্যক্রম পরিচালনা করছে।এই পর্যায়ে তারা ২০০ টি পরিবারের নিকট খাদ্য সহযোগীতা পৌছে দিতে সক্ষম হয়। এ কার্যক্রম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংগঠনের হয়ে মাঠে কাজ করেছেন সংগঠনের সভাপতি নাজমুল ইসলাম অনিক সদস্যদের মধ্যে ছিলেন জাহিদুল ইসলাম ; পুষ্পিতা চৌধুরী ; আমান ; ওমর ফারুক ; শাহনেওয়াজ জয় ; মুক্তা দত্ত ; এ এম আসিফ। এ নিয়ে হোপ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও চ্যায়ারম্যান ইমরান সাঈদ রবিন বলেন ” আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ আমাদের হোপার্সদের প্রতি। করোনা ভাইরাস থেকে কবে মুক্তি পাবো আমরা সেটা একমাত্র আল্লাহ ই জানেন।আমরা সেচ্ছাসেবকরা করোনার প্রতিষেধক বানাতে সক্ষম নয় তবে আমরা সাধারণ মানুষের ক্ষুধা লাঘবে সক্ষম হবো এই করোনাকালীন সময়ে যদি সমাজের বিত্তবান রা আমাদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে এগিয়ে আসে। তিনি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আকুল আবেদন জানান। তিনি আরো জানান ; তাদের এই ক্ষুধা মুক্তির চ্যালেঞ্জ এ অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের পাশাপাশি তাদের সাথে সার্বিক ভাবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন ( এস.এস. সি ২০১২ ব্যাচ এর কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী) এবং তিনি তাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কথাও জানান। এস.এস.সি ২০১২ ব্যাচ এর প্রতিনিধি আশরাফুল আলম সিদ্দিক বলেন “” এখন ও ই সময় মানুষের জন্য কিছু করার হোপ ফাউন্ডেশন যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয় এ কার্যক্রম এ সার্বিকভাবে আমাদের সহযোগীতা থাকবে। তাদের এ কার্যক্রম এ শরীক হতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৬৭৭২৫১৪০৪। অনুদান পাঠাতে পারেন বিকাশ ০১৯৮৪৮৪৬৪৬৯