বিদায়ী চসিক প্রসাশক সুজনের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
রুমেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম : বেসরকারি কনটেইনার ইয়ার্ডগুলো চট্টগ্রামের গলার কাঁটা উল্লেখ করেছেন বিদায়ী চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এসব ইয়ার্ডের কারণে নগরের প্রবেশমুখসহ বিমানবন্দর, কাঠগড় সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছেন বিদায়ী প্রসাশক খোরশেদ আলম সুজন। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জামালখানের সিনিয়র্স ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। চসিকের সম্পত্তি পাবলিক প্রপার্টি। চসিকে দক্ষ জনবলের অভাব। দক্ষ জনবল চসিকের বড় সম্পদ। নিয়োগের নিয়ম বালাই নেই, অফিসে আসা যাওয়া অনিয়ম সহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি বলেন, দিনের ১২টার সময়ও কর্পোরেশনের অনেকে অফিসে আসে না। আমি সোয়া ৯টায় গেট বন্ধ করে দিয়েছি তিন দিন। চসিকে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। নিয়োগের নিয়ম কানুনে তো বালাই নাই। দক্ষ জনবল চসিকের বড় সম্পদ এটা বুঝতে হবে। পৌরসভাও এখন চসিক হয়েছে। কিন্তু এখানে মানসিকতা রয়েছে এখনও পৌরসভার মতো। পরিচ্ছন্ন বিভাগে অতিরিক্ত জনবল আছে। সবসময় দেখেছি কাজে নেই কেউ, হাজিরা আছে। কিছু ভিক্ষুককে সাবেক মেয়র মনজুর আলম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সময় এ ধরনের চাকরি দিয়েছিলেন। এক মাস পর থেকে তারা ভিক্ষা নিতে শুরু করে দিয়েছে।
চট্টগ্রামের বন্দর এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রডাক্টিভ পোর্টের জন্য গতিশীল শহর দরকার। পোর্ট ডিউস থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে চসিককে। তাহলে ৭-৮শ’ কোটি টাকা আয় হবে চসিকের। কাস্টম হাউসের রাজস্ব থেকে ১ শতাংশ দিতে হবে চসিককে। এছাড়াও তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের ছয় মাসের প্রসাশক থাকাকালীন সময়ে সবরকম সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সাংবাদিকদের এ ঋণের শোধ দিতে পারবেন না বলেও জানান তিনি। সাংবাদিকদের জন্য সেখানে দুপুরের বুফে খাওয়ার আয়োজন করেছেন তিনি এ মতবিনিময় সভায়।