

আবুল হাসনাত মিনহাজ: চট্টগ্রাম পোর্ট এজেন্টস্ ষ্টিভিডোরস্ এন্ড কন্ট্রাক্টরস্ এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এর কার্যালয়ে একদল দুর্বৃত্তের হামলা ও লুটপাটের অভিযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। বিকালে নগরীর বন্দর থানা ফকির হাট এলাকায় অবস্থিত কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। শ্রমিকদের পূর্বঘোষিত একটি মিটিংয়ে অতর্কিত ১৫ থেকে ১৬ জন লোক জোরপূর্বক ঢুকে হামলা চালায়। হামলায় দুর্বৃত্তরা শ্রমিক-কর্মচারীদের মারধরসহ চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও আসবাবপত্র লুটপাট করে। একটি কক্ষে ইউনিয়ন এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জিম্মি করে মূল্যবান কাগজপত্র ও নগদ টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী লীগের নেতা খোঁড়া নাছের এর অনুসারী হাসান ওরফে রুবেল এ হামলার নেতৃত্ব দেন বলে ইউনিয়নের নেতারা জানান। খোঁড়া নাছের ও রুবেল এখন ভোল পাল্টাচ্ছে। তারা ফ্যাসিস্ট আমলে সুবিধাভোগী বন্দর লুটপাটকারী ও লীগ নেতাদের একান্ত দোসর । রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে বন্দর সিবিএ ইউনিয়নগুলো দখলের পাঁয়তারা করছে এ গিরিগিটীরা ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে ১৫ -১৬ জনের একটি দুবৃত্তের দল অতর্কিতভাবে অফিস কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর, টেবিলের ড্রয়ারে ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাদি ও টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যায়। সিবিএ ইউনিয়নের উপস্থিত সদস্যদের মারধরসহ তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক নেতাদের একটি কক্ষে বন্দি করে রাখে।
এরপর সাইনবোর্ড ও ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বন্দর ব্যবহার ও কাজ করতে হলে খোঁড়া নাছেরের অবৈধ শ্রমিকদের দলে যোগ দিতে হবে, অন্যথায় কারো অস্তিত্ব থাকবে না বলে হুমকি ধামকি দিয়ে যায়। বন্দর ষ্টিভিডোরস্ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন এর কার্যকরী সভাপতি রশিদ আহমেদ ও সাধারণ মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, এটি আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন, ১৯৬২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এ ধরনের জুলুম অত্যাচারের কখনোই সম্মুখীন হই নাই। আমরা শান্তিপ্রিয় স্টিভিডোরিং কর্মচারী হিসাবে যথেষ্ট পরিচিত আছে। আমরা বিগত ১৫ বছর যাবত ফ্যাসিজমের অত্যাচার আর বৈষম্যের শিকার হয়েছি। এখন নতুন করে আমাদের ওপর জুলুমবাজদের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। খোঁড়া নাছের ও হাসান ওরফে রুবেল ফ্যাসিবাদী দোসর। তারা এখন ভোল পালটিয়ে বিএনপি নেতা আমির খসরু ও ডাঃ শাহাদাত এর নাম ভাঙিয়ে সিভিএ ইউনিয়ন দখলের পাঁয়তারা করছে। আমরা এ হামলা তীব্র নিন্দা ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এ দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমির খসরু ভাই ও ডাঃ শাহাদাত ভাইকে রুবেল ও তার সাঙ্গপাঙ্গের বিরুদ্ধে শোকজ করতে অনুরোধ জানাচ্ছি। এদিকে হামলার বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থানাকে অভিহিত করলে ফাড়ির ইনচার্জ অব্দুল গফুর বিকালে অফিসে এসে ভাংচুরের তদন্ত করেন।