বরিশালে ১ হাজার ৫১ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায়
শাওন অরন্য,সিনিয়র নিউজ রিপোর্টার,বরিশাল। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেতে স্থানীয় লোকজন থাকতে পারে সেজন্য এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে সাইক্লোন আম্ফানের শক্তি। জেটিডাব্লিউসি এর তথ্যানুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে প্রেসার নেমে ৯০১ মিলিবারে এ পৌঁছেছে। ১৯৯১ সালের যে সাইক্লোনে বাংলাদেশে ৫ লাখ লোক নিহত হয়েছিল, সেসময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে প্রেসার নেমে ৮৯৮ মিলিবারে পৌছেছিলো। বঙ্গোপসাগরের ইতিহাসে সাইক্লোনের শক্তির দিক দিয়ে আম্ফান এখন দ্বিতীয়; প্রেসার আর ৩-৪ মিলিবার ড্রপ করলেই আম্ফান হয়ে যাবে বঙ্গোপসাগরের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী সাইক্লোন। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, এ ধরনের সুপার সাইক্লোনে উপকূলীয় এলাকায় ৪৮ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে! এ ব্যাপারে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছ থেকে জানা গেছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় বরিশাল জেলায় ১ হাজার ৫১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে বরিশাল জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি বেশ কয়েকটি সভা করেছেন। সভাগুলোতে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং ওইসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেও মাঠপর্যায়ে কাজ চলমান রয়েছে। যার মধ্যে সাইক্লোন শেল্টারের বাইরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার ব্যবস্থা করা, সব ধরনের সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা, জেলার সব স্থানে মাইকিং ও আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য প্রচার করা, মাঠে থাকা বোরো ধান দ্রুত কেটে ফেলার ব্যবস্থা করতে কৃষককে পরামর্শ দেওয়া এবং প্রয়োজন হলে তাদের ধান কাটতে সহযোগিতা করা, প্রাণিসম্পদ রক্ষায় গুরুত্ব আরোপ করা, সিপিপি,রেড ক্রিসেন্টসহ সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা। বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় বরিশাল জেলায় ১ হাজার ৫১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে এবং সেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়াও জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুম খোলার কাজ চলমান রয়েছে।