প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে আনন্দ আয়োজন আইআইইউসিতে
বেলুনে বেলুনে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠানস্থল। গোছানো পরিপাটি মঞ্চ। সাজ সাজ রব ক্যাম্পাসজুড়ে। বিশাল কেক সামনে নিয়ে অপেক্ষা সকলের। চোখে-মুখে সবার উচ্ছ্বাস।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইইউসি) ক্যাম্পাসের ফিমেল একাডেমিক জোনে। কারণ ২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আইআইইইউসি ক্যাম্পাসে দুটি পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. মছরুরুল মওলার নেতৃত্বে সকাল ১১টায় প্রথম দফা কেক কেটে ও মোনাজাতের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
এছাড়া বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমিরাস্থ ফিমেল একাডেমিক জোনে কেক কেটে ও দোয়া পরিচালনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন করা হয় পৃথকভাবে। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন আইআইইউসি’র বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এবং সভাপতি ছিলেন আইআইইউসি’র বোর্ড অব ট্রাস্টি ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের কার্য-নির্বাহী কমিটির সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী।
ফিমেল একাডেমিক জোনের আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি বলেন, ‘সমগ্র বাঙালীর হৃদয় গভীরে ইতোমধ্যেই বিশ্ববরেণ্য উন্নয়ন রাজনীতির প্রতিমাস্বরূপ সফল ও সার্থক রাষ্ট্রনায়ক জননন্দিত শেখ হাসিনার অবস্থান অত্যন্ত সুদৃঢ় সৃজনশীল, নান্দনিকতা, মানবিকতা ও অসাম্প্রদায়িকতার অপরূপ উপমারূপী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কালের অর্জনসমূহের সমাহার শুধু তাঁর স্বকীয় ভাবমূর্তিকে নয়; দেশকেও বিশ্বপরিমণ্ডলে করেছে আকাশচুম্বী মর্যাদাসীন। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখতে পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী এমপিকে আইইউসির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি একজন ইসলামিক স্কলার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিক। তার হাত ধরেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে।’
আইইউসি’র বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী বলেন, ‘একটি লাল সবুজে পতাকা ও একটি জাতিরাষ্ট্র দিয়ে গেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভারতের কাশমীর ও চিনের উইগুরে যদি বঙ্গবন্ধুর মত নেতা থাকতো তাহলে তারা নির্যাতিত হতো না। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্ভীক আত্মপ্রত্যয়ী ও দৃঢ়চেতা নেত্রী হিসেবে বাঙালি জাতির দিশারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তিনি কেবল আওয়ামী লীগের নেত্রী নয়। তিনি ধ্বংসস্তুপ থেকে পতিত একটি দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে গেছেন, বিশ্বের বুকে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।’
রিজিয়া রেজা চৌধুরী আরও বলেন, ‘আইআইইউসি পতিত অবস্থায় চলে গিয়েছিল। যতই দামি গাড়ি হোক, ভাল চালক না হলে ওই গাড়ির ধ্বংস অনিবার্য। ঠিক তেমনই একটি প্রতিষ্ঠানের স্টিয়ারিংয়ে যদি দক্ষ, যোগ্য ও সৎ মানুষ না থাকে তাহলে সে প্রতিষ্ঠানের ধ্বংসও অনিবার্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রফেসর ড. আবু রেজা নদভীকে দিয়েছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অচিরেই দেশের শীর্ষ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ।’
মুল ক্যাম্পাসের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন আইআইইউসি’র ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ড. ইঞ্জিনিয়ার রশীদ আহমেদ চৌধুরী, উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. মছরুরুল মওলা, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, শরীয়া ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. শাকের আলম শাওক, কলা অনুষদের ডিন ড. রিয়াজ মাহমুদ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আকতার সায়িদ,আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসাইন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন হাফিজ, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ শফীউর রহমান, ট্রান্সপোর্ট ও সিকিউরিটি ডিভিশনের চেয়ারম্যান ড. মহিউদ্দিন মাহি, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক আফজাল আহমেদ, বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক সারোয়ার আলমসহ বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি ও দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
ফিমেল একাডেমিক জোনের আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন এই জোনের কো-অর্ডিনেটর ও এডিশনাল ডিরেক্টর ফারহানা ইয়াসমিন চৌধুরী, সঞ্চালনা করেছেন এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর নার্গিস বেগম, মোনাজাত পরিচালনা করেন আইইউসি’র লেকচারার উম্মে হানি, কোরান তেলাওয়াত করেন দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের লেকচারার জাকিয়া বিনতে আলমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।