পরবর্তী আদেশ দেয়া পর্যন্ত জায়েদ খানই সাধারণ সম্পাদক
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের আপিল বোর্ডের দেয়া আদেশ স্থগিত করলো হাইকোর্ট। পরবর্তী আদেশ দেয়া পর্যন্ত জায়েদ খানই সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার সকালে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেতা জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত ৭ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার দুপুরে আদালত এই আদেশ দেন।
এ সময় জায়েদ খান বলেন, আমি পক্ষে রায় পেয়েছি। আপিল বোর্ড অবৈধ। আমিই জয়ী সাধারণ সম্পাদক।তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ইস্যুতে হাইকোর্টে ন্যায়বিচার পেয়েছি।
এর আগে নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রাথমিকভাবে জয় লাভ করেও শপথ নিতে পারেননি জায়েদ খান। আপিল বোর্ডে তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শপথ নিয়েছেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। এর প্রেক্ষিতে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন জায়েদ।গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে জায়েদ খানকে অপসারণের সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচনের আপিল বোর্ড। একই সঙ্গে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।
আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান জানান, নির্বাচনী বিধি অমান্যের অভিযোগে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও আপিল বোর্ড এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় তা মানতে রাজি ছিলেন না জায়েদ খান। তাই বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
একইসাথে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর ফলে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে কাজ করতে আর কোন বাধা থাকলো না।
এর আগে শনিবার চিত্রনায়িকা নিপুণ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে নির্বাচনের আপিল বোর্ডে আবেদন করেন। ঐদিন সন্ধ্যাতেই নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান এক সভা শেষে জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানান এবং নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন।