পটুয়াখালী দশমিনায় গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরী গৃহ বধুর আত্মহত্যা
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ গৃহ বধুর পরিবারের দাবী তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামী। ৮ মে (শুক্রবার) পটুয়াখালী জেলাস্থ দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামে মিতু(১৪) নামের এক কিশোরী গৃহ বধু ওড়োনা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে মর্মে যে অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী মহিউদ্দিনকে(২৫) গেফতার করেছে পুলিশ। চরহোসনাবাদ গ্রামের খাদ্য গুদামের উত্তর পাশে মিজানুর রহমান তিতাসের বাসার পশ্চিম পাশের রুমে ভাড়া থাকতো গলাচিপা পৌর সভার আজিজ খার ছেলে দিন মজুর মহিউদ্দিন ওরফে মাইনউদ্দি এবং তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার মিতু। মিতুর মা ফরিদা বেগম বলেন,মাত্র ৭ মাস পূর্বে স্কুলে যাওয়ার পথে মাইনউদ্দিন জোরপূর্বক আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে বিবাহ করেছে। কিন্তু আমরা এ বিবাহ মেনে নেই নাই। তারপর থেকেই তারা এই ভাড়া ঘরে থাকে। তবে প্রায়ই শুনি মাইনউদ্দিন আমার মেয়েকে মার ধর করে। কান্না বিজড়িত কন্ঠে ফারুক মোল্লার ছেলে, মিতুর দুই ভাই শাহিন এবং শামীমের দাবী, মাইনউদ্দিন ই আমার বোনকে মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। আপনারাই দেখেন, গলায় ফাঁস দিলে এভাবেকি মাটিতে পা পরে থাকে ? তার পাশেই রয়েছে অনেক বড় একটা সিড়ি। স্বামী মানইন উদ্দিন বলেন, রাতে আমরা একই ঘরে ছিলাম,সকালে মিতুর সাথে আমার সামান্য কথা কাটা কাটি হয়। অতপর আমি ঘর থেকে বের হয়ে গলাচিপা চলে যাই। সেখানে বসে মোবাইলে জানতে পাই আমার স্ত্রীর এই মৃত্যু সংবাদ। তারপরই আমি চলে আসি। আমি এর মৃত্যু সম্পর্কে আর কিছুই জানিনা। ঘটনার সংবাদ শুনে দশমিনা থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম জালাল উদ্দিন এবং ওসি তদন্ত আঃ ছালাম মোল্লা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালীর মর্গে প্রেরন করেন। ওসি এসএম জালাল উদ্দিন বলেন, এটা হত্যা নাকি আত্ম হত্যা, জানা যাবে পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট হাতে আসার পরে । এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু দায়ের করা হয়েছে বলে জানান,তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।