

সোহেল খান দূর্জয়,নেত্রকোনা প্রতিনিধি : ‘কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগানে নেত্রকোনা জেলা কৃষক লীগের আয়োজনে (১৫ই আগষ্ট ) ‘কৃষক হত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনা শহরের ছোট বাজার জেলা আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয় থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবু তাহেরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আতাউর রহমান মানিক, সম্পাদক হাফিজুর রহমান খান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্পিতা খানম সুমি, সম্পাদক টিটু দত্ত রায়।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোতালেব খান রানা, আবু রায়হান, মুজিবর রহমান তারেক, সমিরন সরকার, গাজী মোসাদ্দেক হোসেন রতন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে সারের দাবিতে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়ে ছিলেন ১৮ জন নিরীহ কৃষক। কিন্তু এখন কৃষকদের সারের জন্য আর আন্দোলন করতে হয় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন কৃষি ও কৃষকবান্ধব সরকারের পক্ষ থেকে লাখ লাখ কৃষককে বিনামূল্যে সার-বীজ ও কৃষি উপকরণ দেয়া হচ্ছে। কৃষিখাতে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে।
আলোচনা সভার পর বিএনপি সরকারের আমলে ১৯৯৫ সালে ১৫ই মার্চ সার, তেল, কীটনাশক ও কৃষিপণ্যের দাবিতে আন্দোলন করায় পুলিশের গুলিতে নিহত ১৮ জন কৃষকের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিএনপি সরকারের আমলে ১৯৯৫ সালে মার্চ সার, তেল, কীটনাশক ও কৃষিপণ্যের দাবিতে আন্দোলন করা ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৫ মার্চকে ‘কৃষক হত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
১৫ই মার্চ কৃষক হত্যা দিবস উপলক্ষে নেত্রকোণা জেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে শোক র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সাড়ে ১১টায় জেলা কৃষকলীগ এই শোক র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।
১৯৯৫ সালে সার কিনতে গিয়ে বিএনপি-জামাত শাসনামলে পুলিশের গুলিতে ১৮ জন কৃষক শহীদদের স্মরনে কৃষকলীগ প্রতি বছর এ দিনটি পালন করে আসছে।