

নেত্রকোণা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার বারহাট্টায় সীমানা তোরণে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির সাথে আরো ক্ষমতাশীন দলের দুই ব্যক্তির ছবি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
কোনো অনুমতি ও সরকারি নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে নেত্রকোণার বারহাট্টায় সীমানা তোরণে ক্ষমতার দাপটে সমাজ কল্যান প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপি ও বারহাট্টা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাইনুল হক কাশেমের ছবি ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সীমানা তোরণটি উদ্বোধনের ছবি
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই সখের বসে পোস্ট করতে দেখা গেছে এবং রীতিমত তা ভাইরাল হয়েছে ব্যাপক হারে, যা দেখে সচেতন মহলে রীতিমত আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এ ব্যাপারে বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামীলীগে এক সদস্য নাম প্রকাশ না করা সর্তে বলেন, সীমানা তোরণে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির পাশে তাদের যে ছবি বসানো হয়েছে তার কারনে আমরা সহ পুরো আওয়ামীলীগ আজ সমালোচনার মুখে পরেছি।
জাতির পিতার এই ছবি ব্যবহার করাকে আমরা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, সরকারি আইন অনুযায়ী এমন ঘটনায় যে কেউ ফেঁসে যেতে পারেন অনায়াসেই। সরকারি আইন মোতাবেক সীমানা তোরণ ও সরকারি যে কোনো কাজে ব্যক্তি ছবি ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণ হলেই ভোগ করতে হবে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও দশ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
আর অভিযোগের পর একবার পুলিশের হাতে ধরা খেলেই জামিন মিলবে না মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আইনে এমন বিধান ও রয়েছে। তা জেনে ও তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সীমানা তোরণে তাদের ছবি ব্যবহার করেছে।
বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামীলীগের আরেক সদস্য বলেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০১৫ খসড়ায় এ বিধান রাখা হয়েছে। খসড়া আইনটির ১৪ ধারায় সীমানা তোরণ বা সরকারি যে কোনো কাজে ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার আইন লঙ্ঘনের অপরাধে এর শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
নেত্রকোণা জেলা আওয়ামীলীগের আরেক সদস্য বলেন, সীমানা তোরণে ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহারকে আমি নিন্দা জানাই এতে আমাদের কলঙ্ক হয়েছে।
তিনি বলেন, সব জেনে শুনে আমাদের এমপি সমাজ কল্যান প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এমপি মহোদয় তা কিভাবে উদ্বোধন করলেন, ও আজকে শুনেছি তা নাকি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে এটাই জানতে চাই আপনারা গনমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে।
তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয়, সীমানা তোরণ ও সরকারি যে কোনো কাজে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাড়া ব্যক্তিগত ছবি, ব্যবহার করলে একই শাস্তি ভোগ করতে হবে আইন লঙ্ঘনের দায়ে।সম্প্রতি তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগ এই আইনের খসড়াটি প্রস্তুত করেছে।