নাটোরে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার সুপার আটক
আশিকুর রহমান টুটুল(নাটোর প্রতিনিধি): নাটোরের বড়াইগ্রামে ৫ম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রী (১৩) কে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপারকে ধাওয়া করে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে জনতা। শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বনপাড়া পৌরশহরের কালিকাপুর এলাকার একটি বিল থেকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। আটককৃত ওই মাদ্রাসা সুপারের নাম মাওলানা মুফতি ইসমাইল হোসেন (৩৪)। সে কালিকাপুর উম্মাহাতুন মুমিনীন মহিলা মাদ্রাসার সুপার, কালিকাপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও পাশ্ববর্তী গুরুদাসপুর উপজেলার বৃ-চাপিলা শাহিবাজার এলাকার আব্দুল লতিফ প্রামাণিকের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সূত্র ধরে ওই মাদ্রাসাটিও বন্ধ রয়েছে। অধ্যায়নরত ছাত্রীদের লেখাপড়া চলমান রাখার জন্য মাদ্রাসা সুপার অভিভাবকদের তাগিদ দিলে বনপাড়া মালিপাড়া এলাকার এক বয়ক্তি তার পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া শ্যালিকাকে মাদ্রাসা সুপার ইসমাইল হোসেনের কাছে প্রাইভেট পড়তে বলে। এতে শ্যালিকা আপত্তি জানিয়ে বলে যে, ‘ওই সুপারের কাছে প্রাইভেট পড়বো না, কারণ ওই সুপার আমার বান্ধবীকে ক্লাশ রুমে আটকে খারাপ কাজ করেছে’। এ কথা শুনে ওই অভিভাবক শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে একই এলাকার ওই বান্ধবীর কাছে যান এবং গত ফেব্রæয়ারী মাসের শেষের দিকে শ্রেনীকক্ষে তাকে ওই সুপার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে মর্মে সে ঘটনা খুলে বলে। পরবর্তীতে শনিবার সকাল ৯টার দিকে ওই অভিভাবকসহ স্থানীয় লোকজন সুপার ইসমাইল হোসেনের কাছে ঘটনা জানতে গেলে সুপার দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় জনতা তাকে ধাওয়া করে আটক করে। বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তৌহিদুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসা সুপার ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে আটক করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে মামলা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।