নরসিংদীতে নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নরসিংদীর রায়পুরায় নিখোঁজের পাঁচদিন পর এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার বাখরনগর গ্রামের এক ডোবার পাড়ের ক্ষেত থেকে ইয়ামিন মিয়া নামে আট বছর বয়সী ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহত ইয়ামিন উত্তর বাখরনগর গ্রামের প্রবাসী জামাল মিয়ার ছেলে। সে উত্তর বাখর নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গত ২৮ নভেম্বর নিখোঁজ হয় শিশুটি। এর পর থেকেই মোবাইলে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় ১ ডিসেম্বর রায়পুরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন শিশুটির মা শামসুন্নাহার বেগম।এ বিষয়ে নিহত শিশুর মা সামছুন্নাহার জানান, গত ২৮ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে ছেলেকে বাড়িতে রেখে ইউপি নির্বাচনে ভোট দিতে কেন্দ্রে যান তিনি। ভোট দিয়ে দুপুর ১২টার দিকে ফিরে আসেন।
কিন্তু বাড়িতে ছেলেকে পাননি। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে এলাকায় ও অশপাশের গ্রামে মাইকিং করা হয়।এরই মধ্যে মাইকিং করে বাড়ি ফেরার পথে আমার মোবাইল ফোনে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। দাবির প্রেক্ষিতে কিছু টাকা বিকাশের মাধ্যমে অপহরণকারীদের দেয়া হয়।
শুক্রবার সকালে ইয়মিনকে ফেরত দেয়ার কথা ছিলো। সকালে নিহতের বাড়ির অদূরে মতলবের ধান ক্ষেতে একটি অর্ধগলিত লাশ পড়ে থাকনে দেখেন এলাকাবাসী। পরে ইয়ামিনের স্বজনরা সেখানে গিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করেন।খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ জানায়, ধানখেতে ওই লাশ ফেলে দেওয়ার পর লাশের কিছু অংশ শিয়াল-কুকুর খেয়ে ফেলেছে। কবে ওই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আতাউর রহমান জানান, মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় ওই শিশুকে হত্যা করে অপহরণকারীরা লাশ ধানখেতে ফেলে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিখোঁজ শিশুর মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কাজ শুরু করেছিল। ওই শিশুর মা তিনজন ব্যক্তিকে সন্দেহ করেন বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন। অপহরণকারীদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।