দুগার্পুরে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রি, আতঙ্কে কৃষকরা
তোবারক হোসেন খোকন,দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট দোকান গুলোতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল কীটনাশক ঔষধ। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন কৃষকরা। ফলন বিপর্যয়, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ ঠেকাতে কৃষকরা এখন চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। গত রবিবার উপজেলার কাপাসাটিয়া বাজার থেকে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারগণ আব্দুল হামিদের দোকান থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক উদ্ধার করে তা ধ্বংস করেন।
এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামীণ কৃষকদের কাছে নিম্নমানের কীটনাশক অবাধে বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ কৃষক আসল—নকল কিংবা মেয়াদ যাচাই না করেই এসব কিনে কৃষি জমিতে প্রয়োগ করছেন। জমিতে ব্যবহার করার পর কার্যকারিতা না থাকায় তারা বুঝতে পারেন ওই কীটনাশকে ভেজাল ছিলো।
স্থানীয় কৃষক লালু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমরা ভেজাল কীটনাশক কিনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। হামিদের দোকান থেকেই কিটনাশক কিনে ক্ষেতে দেই। আল্লাহই জানেন আমার ফসল যে কি হয় ?
আরেক কৃষক এমদাদুল হক বলেন, আগেও সারের মধ্যে লবণ মিশিয়ে ভেজাল বিক্রি করেছিল। ধরা পড়ে জরিমানাও দিয়েছিল। কিন্তু এখনও ভেজাল কীটনাশক বিক্রি করছে। আমরা এ নিয়ে খুব আতঙ্কে আছি।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. রায়হানুল হক জানান, আমরা ওই দোকান থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ কিছু কীটনাশক পেয়েছি। পরবর্তীতে তা ধ্বংস করা হয় এবং দোকান মালিককে শোকজ করা হয়েছে। আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। কৃষকদের ক্ষতি হতে পারে এমন কোনো বালাইনাশক বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।