টেকনাফে বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত ১টি দেশীয় অস্ত্রসহ ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার
ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি। কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার নাফনদী হয়ে বাংলাদেশে মাদকের বড় একটি চালান নিয়ে আসার সময় টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অভিযানে মাদক পাচারকারীদের সাথে বন্দুক যুদ্ধে একজন নিহত হয়েছে। এসময় বিজিবির তিন জওয়ান আহত হলেও ঘটনাস্থল হতে ৪০ হাজার ইয়াবা, দেশীয় তৈরি নলা ১ টি নলা বন্দুক ও কার্তুজসহ একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আজ ১২ জুলাই ভোরে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিশেষ একটি টহলরত দল দমদমিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা কেয়ারী ঘাটের দক্ষিণ পাশ দিয়ে মাদকের চালান অনুপ্রবেশের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টহলে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে সন্দেহভাজন ২জনের ঘোরাফেরা দেখে বিজিবি জওয়ানরা সর্তক অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তি নাফনদী সাতাঁর কেটে কিনারায় এলে সন্দেহভাজন ঘোরাফেরা করা ব্যক্তিদ্বয় তার নিকট গেলে বিজিবি জওয়ানেরা তাদের চ্যালেঞ্জ করা মাত্র তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন বিজিবি জওয়ানেরা তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হয়। বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে হামলাকারীরা খাল বেয়ে পাহাড়ের ভেতরে পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৪০হাজার ইয়াবা, ১টি দেশীয় তৈরী এলজি ও ১রাউন্ড তাঁজা কার্তুজসহ নাইট্যং পাড়ার বার্মাইয়া ছৈয়দ আহমদের পুত্র ছৈয়দ আলম (৩৫) কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপর আহত বিজিবি জওয়ানদ্বয় এবং গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারীকে দ্রæত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে আহত বিজিবি জওয়ানদের চিকিৎসা দেওয়ার পর গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারী গ্রæপের সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ব্যাপারে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ওসমান আল হুমাম, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি। ১২-০৭-২০২০