টানা ৭দিনের ভারী বর্ষনে চলনবিলে ফের বন্যা, ১৫০০ হেক্টর জমির ধান পানিতে ডুবে নষ্ট।
কাওছার আহ্ম্মেদ ডাহিয়া, (সিংড়া)প্রতিনিধি। টানা ৭ দিন অধিকাংশ সময় ভারী বর্ষন হওয়ায় চলনবিলের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চলনবিলের ১নং শুকাশ,২নং ডাহিয়া,৩নং ইটালি, ৪নং কলম ও ৫নং চামারি ইউনিয়ন সহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বন্যার পানি পুনরায় বৃদ্ধিপেয়ে এই অঞ্চলের মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে অধিক বৃষ্টিপাতে পানি দ্রুত বৃদ্ধিপেয়ে চলনবিল অঞ্চলের শত-শত কৃষকের বর্ষা মৌসুমে জমিতে রোপন করা ধান ডুবে নষ্ট হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার (সিংড়া) দেওয়া তথ্যমতে, জানাযায়, উপজেলার প্রায় ১৫০০/১৬০০ হেক্টর জমির রোপা ধান,,যা বর্ষা নেমেগেলে জমিতে রোপন করা হয়েছিল, কিন্তুু গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডুবে প্রায় নষ্ট। পানি ৩/৪দিনের মধ্য নেমেগেলে কিছু অংশ নষ্টের হাত থেকে বাচত। এতে করে চলনবিলের কৃষকদের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে, উপজেলার তালিকা ভুক্ত প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্য বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ বিতরণ করেন। কিন্তুু বরাবরই চলনবিলে বর্ষায় ধান উৎপাদনের যে লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয় তার লোকসান গুনতে হয়।ফলে আমরা দেশের বৃহৎ জনসংখ্যার জন্য খাদ্যউৎপাদনের চাহিদা মিটিয়ে, অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদনে হিমসিম খাচ্ছি। চলনবিলের খাদ্য উৎপাদনশীল অঞ্চলগুলোতে(যে অঞ্চলে ফসল উৎপাদনে সম্ভাবনা আছে) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ নির্মান করে আমাদের এই বিরাট একটি অর্থনৈতিক ক্ষতির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বাধ তৈরী সম্ভব হলে, কৃষকরাও বারবার এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতির সম্মুখীন হবেনা। সকরার যদি বিষয়টি গুরুত্ব সহ দেখেন তবেই চলনবিলের কৃষকগণ বারবার বিরাট একটি লোকসানের শিকার থেকে মুক্তি পাবে।