চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সড়ক’ সম্প্রসারণ প্রকল্প মেয়রের ‘অনুরোধে’ সাশ্রয় হচ্ছে ১২’শ কোটি টাকা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ ২৫০০ কোটি টাকার ‘চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সড়ক’ সম্প্রসারণ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। রোববার (২২ মার্চ) এ চসিক মেয়রের নিজস্ব উদ্যোগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাভ করে প্রকল্পটি।
২৫০০ কোটি টাকার টাকার এ প্রকল্পে মেয়রের অনুরোধে সাশ্রয় হচ্ছে ১২’শ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান মেয়রের অনুরোধে ২৫৮ গন্ডা ভূমি চসিককে দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের অনুরোধে ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয় বা ক্ষতিপূরণ নেবে না চট্টগ্রাম বন্দর।

বিমানবন্দর রোডের এই সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় মহানগরীর ৪১ ওয়ার্ডে বেশকটি সড়ক উন্নয়ন সংযুক্ত। এলাকাগুলোতে ছোটখাটোরোড ১২টি ব্রিজ, ৩৮টি ফুটওভার ব্রিজ, ২৮টি গোলচত্বরের কাজ সংযুক্ত। দুইলেন বিশিষ্ট প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণের এ কাজ আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, ‘চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সড়ক’ সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য মন্ত্রণালয়ে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রণালয় কিছুটা কাঁটসাট করে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প প্রাক্কলন অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা নিরূপণ, কনসালটেন্ট নিয়োগসহ সকল কাজ সম্পন্ন করে চসিক। অনুমোদন হওয়া এই প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ করতে কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে? এমন প্রশ্নে চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন জানান, ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ চসিকের কোনো টাকা খরচ হবে না। চসিক মেয়রের অনুরোধে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) বিনা খরচে ভূমি দেবেন।
এদিকে, জনস্বার্থে ভূমিবাবদ ক্ষতিপূরণ না নেয়ার সিদ্ধান্তে চবক চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজের সহযোগিতার জন্য নগরবাসির পক্ষে থেকে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেয়র।
বিকেল তিনটায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব হেলাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রকল্প পর্যালোচনা সভায় অংশ নেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন প্রমুখ।