

সৈয়দ মাহিন,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : ফিলিস্তিনে জ্বলছে আগুন জ্বলছে আগুন বক্ষে, বিশ্ববাসী দাঁড়াও রুখে মানবতার পক্ষে। এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিবাদী কবিতা পাঠ।রবিবার (১৪ এপ্রিল) শব্দকলা সাহিত্য সংগঠনের উদ্যোগে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে উক্ত কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে রাবি উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, কবিতা হলো হৃদয়ের ভাষা। অল্প কথাতে হৃদয়ের গভীরতম অনুভূতিকে প্রকাশ করতে কবিতার চেয়ে সুন্দর আর কোনো মাধ্যম নেই। কবিতা যেমন কোমলতার কথা বলে তেমনি যুদ্ধ, দ্রোহ, বিদ্রোহের ভাব প্রকাশ করার এক অন্যতম মাধ্যম। অবিচারের বিরুদ্ধে সুবিচারের যে যুদ্ধ চলছে এ যুদ্ধের অনেকগুলো দিক আছে। মাঠে যেমন যুদ্ধ হয়, জ্ঞ্যানের রাজ্যে যুদ্ধ হয় তেমনি এক মস্ত বড়ো যুদ্ধ হলো এ ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মসূচি।
তিনি আরো বলেন, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এ যুদ্ধকে শক্তিশালী করা বিশাল একটা সংগ্রাম কারণ এটা মানুষকে উজ্জীবিত করে এবং প্রতিবাদী হতে শেখায়। আজকের এ আয়োজন খুব সুন্দর এবং ব্যাতিক্রমি উদ্যোগ বলে আমি মনে করছি এবং এ ধরনের সাংস্কৃতিক উদ্যোগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন হচ্ছে তেমনিভাবে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এ সংগ্রাম ছড়িয়ে পড়ুক।
শব্দকলা সাহিত্য সংগঠনের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আকন্দ বলেন, শব্দকলা সবসময় মানবতার পক্ষে কাজ করে। এ পর্যন্ত আমরা যত কাজ করেছি তা সবকিছুই বাংলা ভাষা,সাহিত্য, ও মানবতার জন্য। ভিডিও গেইমসের মতো যেভাবে গাজা ও রাফা শহর ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে তারই প্রতিবাদে আজকে আমদের কবিতা পাঠের আয়োজন করেছি।
রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, আমরা এখানেই কয়েকদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে গাজার মজলুম মানুষদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছিলাম এবং আমি মনে করি আজকের এই কর্মসূচিটিও তার-ই একটি ফলো-আপ প্রোগ্রাম। কবি কাজী নজরুল ইসলাম যখন বৃটিশদের বিরুদ্ধে তার কবিতার মাধ্যমে সংগ্রাম চালিয়েছিলেন তখন কিন্তু মিডিয়া এতো শক্তিশালী ছিলোনা, কিন্তু তবুও তাকে কবিতা লিখে কারাবরণ করতে হয়েছিল। আমার বিশ্বাস, এই কবিতার যে প্রচন্ড শক্তি আছে তা ইসরায়েলী দখলদার বাহিনীর গদিকে নাড়িঁয়ে দিবে।
এসময় রাজশাহীর গণ্যমান্য কবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।