কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভোট চান কাউন্সিলর প্রার্থী জাবেদ
চট্টগ্রাম: আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৩ নম্বর উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ড থেকে আবারও প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য, নির্বাচন করছেন মিষ্টি কুমড়া প্রতীক নিয়ে।
উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের আয়তন ০.৫৮ বর্গকিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ওয়ার্ডের মোট জনসংখ্যা ৩১ হাজার ১৭৫ জন। মোট পরিবার ৬ হাজার ৬৬৯টি। এ ওয়ার্ডের প্রশাসনিক কার্যক্রম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডবলমুরিং থানার আওতাধীন। এটি চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় এলাকার অংশ।
ওয়ার্ডের উল্লেখযোগ্য এলাকা দেওয়ানহাট, ধনিয়ালাপাড়া, পোস্তারপাড়। ওয়ার্ডে সাক্ষরতার হার ৬৯.৮ শতাংশ। এখানে বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা, দেওয়ানহাট সিটি করপোরেশন কলেজ, পোস্তারপাড় আসমা খাতুন সিটি করপোরেশন গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাঠানটুলী খান সাহেব সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও পোস্তারপাড় সিটি করপোরেশন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, পাঠানটুলী খান সাহেব বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোস্তারপাড় আসমা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান।
এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ বলেন, গত ৫ বছর সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমি দায়িত্ব পালন করেছি। আমার কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভোটারদের কাছে আবারও ভোট চাইছি।
তিনি বলেন, বিগত ৫০ বছরে এলাকায় যে কাজ হয়নি- তার অধিকাংশই গত ৫ বছরে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। ওয়ার্ডে ৫০ কোটি টাকার বেশি উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি, ৫ তলা হাইস্কুল ভবন নির্মাণ করে দিয়েছি, ডিগ্রি কলেজ ভবন নির্মাণ, চসিক পরিচালনাধীন কলেজের ছাদ ঢালাই, ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার, নাসির খালের ওপর স্ল্যাব নির্মাণ, শেখ মুজিব সড়কের সৌন্দর্য্যবর্ধন ও ফুটপাত নির্মাণ, নালা তৈরি করা হয়েছে। এলাকায় যে স্থানে জলাবদ্ধতা হয়, সেই স্থানের উন্নয়নে কাজ করছি। প্রতিবছর শীতকালে শীতবস্ত্র ও ঈদের সময় ঈদবস্ত্র বিতরণ করে আসছি।
মোহাম্মদ জাবেদ বলেন, গত ৫ বছরে কাউন্সিলর হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে সম্মানীর যে টাকা পেয়েছি সে টাকায় এলাকার মানুষের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স কিনেছি। সেটি এখন বিনামূল্যে সার্ভিস দিচ্ছে। এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং নির্মূলে অলি-গলিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ডবলমুরিং থানা ও ওয়ার্ড অফিস থেকে ওয়ার্ডের সবকিছু নজরদারীতে রাখা হয়েছে। কোন দোকান রাতে খোলা থাকে, কোন এলাকার ছেলেরা রাতে আড্ডা দিচ্ছে, কোথায় ইভটিজিং হচ্ছে, কোথায় কিশোর গ্যাংদের উৎপাত-সবকিছুর ফুটেজ নিয়ে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা যাচ্ছে। থানা পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারছে। এতে ওয়ার্ডবাসী অনেকটা নিরাপদে বসবাস করতে পারছেন।
এবারও মিষ্টি কুমড়া মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এলাকাবাসীর জন্য একটি মেটারনিটি হাসপাতাল গড়ার পরিকল্পনা আমার আছে। শিক্ষিত বেকারদের জন্য করতে চাই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এছাড়া ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। মাদক-সন্ত্রাস নির্মূলে এলাকাভিত্তিক কমিটি করা হবে। এ স্বপ্ন পূরণে এলাকাবাসীর দোয়া ও সমর্থন প্রয়োজন, ভোট প্রয়োজন মিষ্টি কুমড়া মার্কায়।