কাউন্সিলর বেলালের অনুসারীকে ছুরি মেরে মারাত্মক জখম; চমেক হাসপাতালে ভর্তি!
চট্টগ্রাম নগরীর ১৪ নং লালখান বাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে সোহেল নামের এক যুবককে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত সোহেল স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলালের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। অদ্য শনিবার ১২ই মার্চ


এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো লালখান বাজার এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। খুলশী থানা পুলিশের অভিযানে ঘটনায় জড়িত আল-আমিনকে আটক করেছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, আল-আমিন লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী বলে অভিযোগ করেছে কাউন্সিলর বেলালের অনুসারীরা। এই ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম ও তার অনুসারীদের দায়ী করছে আহত সোহেলের পরিবার। সোহেলের পরিবারের সদস্যরা জানান,বন্ধুর অসুস্থ বোনকে মমতা ক্লিনিকে দেখতে গেলে সোহেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে চিহ্নিত সন্ত্রাসী আল-আমিন,শরীফ,জামাই সোহেল ও সুমন ছুরিকাঘাত করে তারা সবাই মাসুমের অনুসারী বলে৷ জানা গেছে।
এ বিষয়ে ১৪ নং লালখান বাজারের কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আবুল হাসনাত বেলাল মুঠোফোনে জানান, জানতে পেরেছি সোহেল মমতা ক্লিনিকে তার বন্ধুর বোনের চিকিৎসার জন্য খোঁজ খবর নিতে গিয়েছে। কিছু দুষ্কৃতিকারী তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক জখম করেছে বলে জেনে তাত্ক্ষণিকভাবে সোহেলকে দেখতে আমি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আছি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি,পরবর্তীতে আমি সব জানাতে পারবো।
ঘটনার খবর পেয়ে খুলশী থানা পুলিশ আহত সোহেলকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। বর্তমানে সোহেল ২৪নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে। তার গায়ে মারাত্মক জখমের চিহ্ন দেখা গেছে। এই ঘটনার বিষয়ে নগরীর খুলশী থানার ওসি সন্তুষ কুমার চাকমা বলেন- ঘটনার পর লালখান বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে সে জন্য পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই জড়িতদের একজন আল আমিনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে খুলশী থানা পুলিশ।
বর্তমানে লালখান বাজারে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কিছুদিন পর পর রাজনৈতিক হামলা ও পাল্টা হামলায় মানুষের মধ্যে ভয়-ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার মানুষের প্রত্যাশা রাজনৈতিক বিবাদমান সমস্যাগুলো প্রতিনিধিরা ঠিক করতে পারলেই মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে। এলাকার সর্বস্তরের মানুষ মনে করেন সুন্দর একটি লালখান বাজার প্রতিষ্ঠায় সবার অংশগ্রহণ জরুরি , নয় কোন হানাহানি নয় কোন মারামারি চাই সম্প্রীতির লালখান বাজার।