কঠোর আইনের পরও নারীর প্রতি সহিংসতা পীড়াদায়ক
কঠোর আইন করার পরও নারীর প্রতি সহিংসতা পীড়াদায়ক বলে আক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য মানসিকতার পরিবর্তন করে নারীদের সহযোদ্ধা হিসেবে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকালে বেগম রোকেয়া দিবসে রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। নারী শিক্ষা, নারী অধিকারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ৫ বিশিষ্ট নারীকে এবার রোকেয়া পদক দেয়া হয়।অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন বেগম রোকেয়া স্বপ্ন অনেকটাই পূরণ হয়েছে, এখন নারীরা বিচার বিভাগ, সামরিক ক্ষেত্র, জাতিসংঘ মিশনসহ সকল ক্ষেত্রে যোগ্যতার সাথে কাজ করে চলছে। কখনো কখনো পুরুষদেরকেও পেছনে ফেলছে। সব অচলায়তন ভেঙে নারীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
অচলায়তন ভেঙে একবার এগিয়ে যেতে পারলে আর কোনো বাধা আসবে না। ইসলাম ধর্মেও কিন্তু নারীদের এই অধিকার দেয়া আছে। বাধা মোকাবিলা করে নারীদের এগিয়ে যেতে হবে।
বেগম রোকেয়ার নারী জাগরণের নানা ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীদের স্কুল প্রতিষ্ঠায় বেগম রোকেয়া নানা সামাজিক বাধা ও প্রতিকূলতায় পড়তে হয়। নারীদের জন্য জাতির পিতার নানা উদ্যোগে কথা তুলে ধরেন। সংসদের আসন সংরক্ষিত, সংবিধানে সমতা, নারী শিক্ষায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নারীদেরও এগিয়ে আসতে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নারী শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়নে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলেন। শিক্ষক নিয়োগে, সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ। বিচার বিভাগে নারী বিচারক নিয়োগ।
প্রথমদিকে ফুটবলে নারীদল গঠনে প্রথম দিকে নানা বাধা আসে। সেটা বিভিন্ন ভাবে আয়োজন করে প্রমীলা দল গঠন করতে হয়। অচলায়তন ভেঙে একবার এগিয়ে যেতে পারলে আর কোনো বাধা বাসবে না।জাতিসংঘ মিশনে নারী কর্মকর্তাদের কাজের প্রশংসা করেন। পুরুষরা যা পারে নারীরা তার চেয়ে বেশি পারে। নারীরা কী পুরুষদের ছাড়া চলতে পারেনা, পারে।
অটিস্টিক শিশুদের সমাজে অধিকার নিশ্চিতে সক্ষম হয়েছে পুতুল। এখন আর কেউ অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে ভয় পায়না, তারা গর্ব করে।এসময় তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী কিংবা হিজড়াদের যদি কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাকরি দেয় তাহলে তাদেরকে বিশেষ প্রণোদনা দেয়া হবে।