কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে চট্টগ্রামে ‘খুচরা’ বিক্রি করে ‘শ্বশুর-জামাই’
চট্টগ্রাম সংবাদ: সম্পর্কে তারা ভাগ্নি জামাই ও মামা শ্বশুর। একজনের নিজের শ্বশুর বাড়ি আরেক জনের বোনের শ্বশুর বাড়ি কক্সবাজার। সেই সূত্রে দুজনেরই দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার যাওয়া-আসা। তবে তাদের সেই যাওয়া আসা নেহায়ে বেড়াতে যাওয়া নয়, উদ্দেশ্য তাদের সেখান থেকে দুজনে মিলে ইয়াবা এনে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন জায়গায় খুচরা গ্রাহকের কাছে ইয়াবা বিক্রি করা। সেভাবে ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে দুজনই পুলিশের হাতে ধরা খেলেন শেষমেষ।নগরীর কোতোয়ালী নতুন রেলস্টেশন সংলগ্ন অস্থায়ী পুলিশ সেবা ঘরের দক্ষিণ পাশে পাকা রাস্তার উপর ইয়াবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থানকালে এই দুই ভাগ্নি জামাই ও মামা শ্বশুরকে আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পাঁচশ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নগরীর চকবাজার জয়নগর ১ নম্বর লেইন সর্দার বাড়ীর মৃত বশির আহম্মদ ছেলে সাব্বির আহাম্মদ রনি (৩৯) এবং জামালপুর জেলার ঝাউগরা বাজার ইমন আলী মোড় আহন্দ বাড়ীর মো. শাহাজান ছেলে মো. সজীব (৩৪)। সজীব বর্তমানে মুরাদপুর হামজারবাগ মাজার গলির জমির বিল্ডিংয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।
জানা যায়, নগরীর নতুন রেলস্টেশন সংলগ্ন অস্থায়ী পুলিশ সেবা ঘরের দক্ষিণ পাশে দুই মাদক কারবারি অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে অভিযানে যায় পুলিশ। তাদের গতিবিধি সন্দেহ হলে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভাগ্নি জামাই ও মামা শশুর। পরে তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে কেকের প্যাকেটে বায়ুরোধক নীল রংয়ের প্যাকেটে রক্ষিত অবস্থায় ১২ হাজার পাঁচশটি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘নগরীর নতুন রেলস্টেশন এলাকায় দুই মাদক কারবারি অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে দুজনের সঙ্গে থাকা কাঁধ ব্যাগে ১২ হাজার পাঁচশ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, আটক সজীবের শশুর বাড়ি ও রনির বোনের স্বামীর বাড়ি কক্সবাজার হওয়াতে তারা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে পাইকারি দামে ইয়াবা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে খুচরা বিক্রি করে আসছিল। এদের মধ্যে সাব্বির আহাম্মদ রনির বিরুদ্ধে ঢাকার গুলশান থানায় আরও একটি মামলা রয়েছে। এখন তাদের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’