এ জগতে হায়,সেই বেশি চায়, আছে যার ভূরি ভূরি- রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি! শিউলী
সাইফুল ইসলাম তাহসান: মানুষের জীবনের বাস্তবতার কথাগুলো বললেন যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিয়া সৃজনী শিউলী, তিনি বর্তমান মানব জীবনের লোভ-লালসার কথা ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মন্তব্যটি তুলে ধরেন, তার এই মন্তব্যটি ঠিক সেভাবে তুলে ধরা হলো। মানুষের জীবনের তাগিদে বাজার সদাই করতেই হয়। আর্থিক সামর্থ্য এবং কর্মব্যস্ততার উপর সামঞ্জস্য রেখে কেউ প্রাত্যহিক বাজার, কেউ সাপ্তাহিক বাজার কেউবা মাসিক বাজার করে থাকেন। বাৎসরিক বাজার বলে যে কিছু একটা আছে তা এবার দেখতে পেলাম ! নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটার জন্য বাসার কাছে একটি মেগাশপে গিয়ে বেশ কিছু মানুষের বাজার ধরন দেখে মনে হলো দেশে বুঝি খাদ্য সঙ্কট থেকে শুরু করে টয়লেট পেপারেরো সংকট চলছে ! কেনার ধরন দেখে মনে হলো আগামী কয়েক বছর যেনো দেশে আর কিছুই পাওয়া যাবে না। করোনা ভাইরাসের কারনে নাকি তারা এগুলো মজুদ করে রাখছেন। যারা বাৎসরিক বাজার-সদাই করছেন তারা কি একবারও ভেবেছেন এতে দেশের সাধারন অনেক মানুষ কতটা সমস্যায় পড়তে পারেন ? কে জানে হয়তো সেই বাৎসরিক ক্রেতা ব্যক্তির কোন ভাই সাধারণ আয়ের মানুষ হতেও পারেন, কোন বোন আর্থিক সংকটে থাকতেও পারেন, হয়তো তার বাবা-মা নাড়ির টানে গ্রামের ছোট্ট বাড়িতে বসবাস করতেও পারেন। তাদের কি হবে ? অনেক দিনমজুর ও শ্রমজীবী ভাই প্রতিদিনের আয় এর উপর নির্ভরশীল। তাদের কি হবে ? নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সামান্য বৃদ্ধিতে অনেকেই হিমশিম খান। তাদের কি হবে ? টেলিভিশনে ডকুমেন্টারি ছবিতে প্রায়ই দেখা যায়, সবচেয়ে হিংস্র প্রাণী শিকার ধরে তার আহার শেষ হলে পরে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রাণীগুলো ফেলে দেওয়া উচ্ছিস্ট গুলো তা গ্রহন করে। কিন্তু তারা তো বনের হিংস্র প্রাণী ,আমরা তো তা নই। তবে কেন বাজার খালি করে করোনাভাইরাস এর চেয়ে আরো বড় আতঙ্ক আমরা সৃষ্টি করবো ? কবিগুরুর সেই বিখ্যাত কবিতার কয়েকটা লাইন খুব মনে পড়ছে, এ জগতে,হায়,সেই বেশি চায়, আছে যার ভূরি ভূরি- রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।