আশুলিয়ায় চাদাবাজি বন্ধ করতে পুলিশের যুদ্ধ ঘোষণা

Share the post
মাহমুদুল ইসলাম সাগর ,সাভার উপজেলা প্রতিনিধি : অবশেষে দীর্ঘদিনের চাঁদাবাজির অভিশাপ থেকেমুক্তি পেয়েছে আশুলিয়ার বাইপাইল বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা। চাঁদাবাজি, হামলা-পাল্টা হামলা আর মানববন্ধন-পাল্টা মানববন্ধনের এক অস্বস্তিকর অধ্যায়ের পর পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে স্বস্তি ফিরেছে এই এলাকায়। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে পুলিশের রীতিমতো ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও কাউন্টারগুলোতে ফিরিয়ে এনেছে স্বাভাবিক গতি, যা সাধারণ ব্যবসায়ী ও কাউন্টার মালিকদের মাঝে ব্যাপক স্বস্তি এনে দিয়েছে। বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবিরের একটি মাইকিং এতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। পুলিশের এমন উদ্যোগ প্রশংসার কুড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।
আশুলিয়ার বাইপাইল বাস স্ট্যান্ড, যা ঢাকার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত, দীর্ঘদিন ধরে কতিপয় চাঁদাবাজ চক্রের হাতে জিম্মি ছিল। অভিযোগ রয়েছে, এই চক্র বাস স্ট্যান্ড ঘিরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে পরিবহন কাউন্টার, খাবার হোটেল, ক্ষুদ্র দোকানপাট এবং হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই নেমে আসতো হামলা, ভাঙচুর ও শারীরিক লাঞ্ছনার মতো ঘটনা। এমনকি, চাঁদা আদায়ের ক্ষমতা নিয়ে বিভিন্ন চক্রের মধ্যে নিজেদের মধ্যেই হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে, যা বাইপাইল এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছিল। এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছে, যা সাধারণ মানুষের মনে এক ধরনের ভীতির সঞ্চার করেছিল।
ব্যবসায়ীরা জানান, পুলিশ প্রশাসন চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে। বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে এবং চাঁদাবাজদের কোনো রকম চাঁদা না দিতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম সুমন জানান, “চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। বাইপাইল বাস স্ট্যান্ড এলাকার চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যবসায়ীরা যাতে নির্ভয়ে ব্যবসা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।”
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেওয়া ঘোষনায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবীর বলছেন, ” আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগীতা করবো। কেউ যদি চাঁদাবাজি করতে আসে তাহলেও আমরা সর্বোচ্চ আইন ব্যবহার করবো। আমরা ৫ই আগস্টের আগের পুলিশ না। আমরা ৫ই আগস্টের পুলিশ। আমরা মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে চাই। সে জন্য যা করতে হবে করবো। তবু মানুষকে স্বস্তি দিবো। তাই আমরা অবৈধ কোন কর্মকান্ড হতে দিবো না। আমাদের কথা একটাই মানুষের নিরাপত্তা”।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated

ইউনাইটেড চ্যারিটি ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম বিভাগীয় নতুন কমিটি ঘোষণা।

Share the post

Share the postমোঃ রুবেল: ইউনাইটেড চ্যারিটি ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ।স্বেচ্ছায় রক্তদান নিয়ে কাজ করছে সামাজিক সংগঠন’ ইউনাইটেড চ্যারিটি ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলায় ও ৮ বিভাগের চলোমান কর্যক্রম। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি নিয়ে নতুন পথ চলার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল। একের কাঁদে অন্য হাত,মানবতার বাঁধন টিকে থাক,এই স্লোগানকে বুকে লালন করে একদণ তরুণ স্বেচ্ছাসেবক মানবতার […]

চন্দনাইশে মানবতার ফেরিওয়ালার পক্ষ থেকে এক নারীকে সেলাই মেশিন উপহার

Share the post

Share the postমোঃ রুবেল খান, চট্টগ্রাম:চন্দনাইশের মধ্যম হাশিমপুর ৪নং ওয়ার্ডের মোজাহের পাড়ার বাসিন্দা মুন্নি নামে এক নারীকে সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছে মানবতার ফেরিওয়ালা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নারী উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।