অবশেষে এটাই কি সত্যি করোনার প্রতিষোধক বা সমাধান হয়তে পারে?তৃণমূল কর্মী সাইফুল ইসলাম তাহসান
নিজস্ব ডেস্ক : সারা বিশ্ব যখন করোনা আতঙ্কিত হয়ে দিনযাপন করতেছে তারাই ধারাবাহিকতায় আমার প্রিয় জন্মভূমিও কোন অংশেও ঝুকিমুক্ত নয় ঠিক সে সময়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতামূলক মন্তব্য করেন কক্সবাজার রামু উপজেলা খুনিয়া পালং ইউনিয়নের এক তৃণমূল বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী সাইফুল ইসলাম তাহসান, যিনি সবসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রচারকারী হিসাবে সুপরিচিত,তিনি তৃণমূল থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার ব্যক্তিগত মন্তব্য তুলে ধরে বলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার এই মন্তব্য যেনো একটু হলেও বিবেচনা করা হয়, তিনি মন্তব্য করেন যা হুবুহু তুলে ধরা হলো মাত্র ১৪ দিনের টিকা বাঁচতে হলে অচিরেই ৬৮ হাজার গ্রামে পৌছিয়ে দিন এই মহা ঔষধ, নয়লে ভয়ংকর পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে সবার জন্য। আপনি, আমি, আমরা বাঁচবার জন্য যতই দৌড়াই না কেন ? মৃত্যু তার চেয়ে আরো অধিক গতিতে ধাওয়া করবে পিছন থেকে। মাত্র ১৪ দিনের জন্য ৬৮ হাজার গ্রামকে লকডাইন করুন । তবেই করোনার ভয়ংকর ছোবল থেকে গ্রামগুলো বাঁচবে , নিরাপদে থাকবে মানুষ , মুক্ত হবে বাংলাদেশ । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনাকেই অনুরোধ করে বলছি— জাতিকে বাঁচাতে চেষ্টা করে রাখার রক্ষক উপরে আল্লাহ নিচে আপনি।সাহসী ও বিচক্ষনতার ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা- এবং মানবতার মা আপনি, বিভিন্ন সময়ে দেশের ক্রান্তিলগ্নে সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত গুলো আপনারই ছিল । আজ সারা বিশ্ব যখন থমকে গেছে করোনা তান্ডবে মৃত্যুর মিছিল থামাতে সমগ্র বিশ্বের পরাশক্তি যেখানে অসহায় ! সেখানে মহাবিশ্বের মানচিত্রে- বাংলাদেশের মত একটি ভু-খন্ড আপনার মুখের উপরে তাকিয়ে । নির্দেশ করুন জাতির পিতার কন্যা-, যেমনটি ৭১ এ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশের অপেক্ষায় ছিল সমগ্র জাতি। তেমনি আজও আরেকটি যুদ্ধের জন্য আপনার নির্দেশের অপেক্ষায় জাতি, ৬৮ হাজার গ্রামকে লকডাইন করুন । এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম, এক শহর থেকে অন্য শহরকে বিচ্ছিন্ন করুন । নিয়ন্ত্রন ও তদারকি করবার জন্য ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, ও গ্রাম স্বেচ্ছাসেবি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিন । একাত্তরে যেমন পাকিস্থানীদের হঠাতে এ দেশের দামাল ছেলেরা জীবন বাজী রেখে যুদ্ধে নেমেছিল ? তেমনি- সমস্ত যুবকদের কাজে লাগান করোনা যুদ্ধে— গুরুত্বপুর্ন কিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব বন্ধ রাখার নির্দেশ দিন । ব্যাংক, সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক , ঔষধ ফ্যাক্টরি, নিত্য -প্রয়োজনীয় পন্যের দোকান, ঔষধের দোকান, ডাক্তার খানা- ব্যাতিত সকল প্রকার দোকান-পাট , হাট-বাজার লকডাইন করুন । আমি জানি- এমনটি কেউ চিন্তাও করবেনা। একমাত্র আপনি ছাড়া এমনটি কেউ ভাববেওনা। জানিনা কোন অদৃশ্য কারনে নির্দেশ দিতে দেরী করছেন ? একটা বিষয় সবার জেনে রাখা জরুরী, সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ না করুন যদি এমন কিছু হয়ে যায় ? সময় তখন কারোর হাতে থাকবেনা । পালানোর মত জায়গা খুঁজে পাবেনা কোথাও— আর তা না হলে ? ভয়ংকর পরিস্থীতি ধেয়ে আসছে আমাদের দিকে ! করোনা কালবৈশাখীর ভয়ংকর থাবায়- ৭১ এর বিভীষিকাকেও হার মানাবে নিমিষেই ! যতসম্ভব , প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠনের নির্দেশ করুন । প্রয়োজনে প্রত্যেকটা গ্রামকে চাঁর পাড়ায় বিভক্ত করুন । পাড়া স্বেচ্ছাসেবি কমিটিকে নিয়ন্ত্রন করুক গ্রাম কমিটি, গ্রাম কমিটিকে নিয়ন্ত্রন করুক ওয়ার্ড কমিটি , ওয়ার্ড কমিটিকে নিয়ন্ত্রন করুক ইউনিয়ন কমিটি। এভাবে উপজেলা , জেলা,কেন্দ্র পর্যন্ত চেয়ারম্যান , মেম্বার , সর্বপরি যুব সমাজকে নিয়ন্ত্রন , তদারকি ও দ্বায়িত্ব বন্টন করুন। দ্বায়িত্ব অবহেলায়— তাৎক্ষনিক আইন করুন । জরুরী স্বাস্থ্যসেবা ব্যতিত কেউ বাইরে বের হবেননা । প্রত্যেক পরিবারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্র সংগ্রহের জন্য একজনকেই বাইরে বেরুনো নিশ্চিত করা হোক । এই স্বেচ্ছাসেবি কমিটির মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায় অসহায়, গরীব, কর্মহীন অভাবী মানুষের নুন্যতম এক মাসের চাউল, ডাল সরবরাহ নিশ্চিত করুন। বিদেশ থেকে অাগত বাংলাদেশীকে তার পরিবারের নিকট না পাঠিয়ে সরকারী ব্যাবস্থাপনায় এ্যায়ারপোর্ট কিম্বা স্থলবন্দর হতে সরাসরি তুলে নিয়ে জেলা পর্যায়ে হোম-করেন্টাইনয়ে রাখবার নির্দেশ দিন । তবেই আমরা বাঁচবো , তবেই বাঁচবে ৬৮ হাজার গ্রাম , তবেই বাঁচবে বাংলাদেশ তবেই জয়ী হব করোনা যুদ্ধে ! তবেই জয়ী হবে জননেত্রী— শেখ হাসিনা— একান্তই নিজস্ব ভাবনা থেকে— সাইফুল ইসলাম তাহসান