১৬ ডিসেম্বরের আগেই রাজাকারের তালিকা
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাজাকারের তালিকার বিষয়ে আইন পাস হলে কাজ শুরু হবে। এই বছরের ১৬ ডিসেম্বরের আগেই রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।রোববার সকালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে ‘ভ্রাম্যমাণ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের’ দুটি বাস উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা আগামী ২৬ মার্চই প্রকাশ করা হবে।
রাজাকারদের সংশোধিত তালিকা প্রকাশের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আশা করছি আমরা এ বছরই সুবর্ণ জয়ন্তীতে ১৬ ডিসেম্বর রাজাকারের তালিকা প্রণয়ন করতে পারব। আগে এই তালিকা প্রণয়নে আমাদের নৈতিক অধিকার ছিল, আইনগত কোনো ভিত্তি ছিল না। ইতোমধ্যে কেবিনেটে জামুকাকে তালিকা প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়ে আইন সংশোধন হয়েছে। তবে করোনার কারণে সংসদ অধিবেশন কম হওয়ায় তা উত্থাপিত হয়নি বলেও জানান তিনি।
সেখানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সুপারিশ নিয়ে আরেক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের পদক বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। দুই মাস সময় দেয়া হয়েছে। তাদের দেয়া তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যাদের নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা বিতর্ক নেই, তাদের তালিকা আমাদের মহান স্বাধীনতার মাস ২৬ মার্চে আমরা প্রকাশ করব। আর যাচাই-বাছাইয়ে যারা টিকে নাই, বা মনে করেছেন যে ন্যায়বিচার পাননি, সংক্ষুব্ধ হয়েছেন উনারা আপিল করেছেন, সেই আপিল নিষ্পত্তি হতে একটু সময় লাগবে।
ওই নিষ্পত্তিতে যদি কেউ প্রমাণ হন যে তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, পরে তাদেরও সংযুক্ত করা হবে বলে জানান মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর বাস সম্পর্কে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এই বাস চালু করা হলো। জেলায় জেলায় এই বাস চালু করা যায় কিনা ভাবা হচ্ছে।