স্বপ্ন পূরণে তথ্য প্রযুক্তিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ

Share the post

০৯ মে ২০২১,রবিবার ১৫:৩০ মোহাম্মদ রেজাউল করিম (চট্টগ্রাম প্রতিনিধি): জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ২০২১ সালের এই লগ্নে, তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ বহুদূর। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রথম ক্ষমতায় এসে, তথ্য প্রযুক্তির প্রথম ধাপ, মোবাইল ফোন সংযোগের মনোপলি পরিবর্তন করার মাধ্যমে শুরু করে এই পথ চলা। সেই সময় প্রায় ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১২ কোটির বেশি সিমকার্ড সংযোগ দেয়া হয়। ১২ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার, তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে, বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ পরিণত করার স্বপ্ন দেখে। সেই থেকে ডিজিটালের পথে যাত্রা শুরু। সব মিলিয়ে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের স্বপ্নই দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বস্তুত জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান।

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যে সমৃদ্ধি ও উন্নত জীবন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, ডিজিটাল বাংলাদেশ তার ই একটি রূপরেখা। একুশ শতকে বাংলাদেশকে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গড়ার প্রত্যয়ে ৬ জানুয়ারি ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ গ্রহণ করেন। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে, বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা এবং দারিদ্র্য মুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে, তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর “ডিজিটাল বাংলাদেশ” বিনির্মাণই ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র স্বপ্ন। যার হাতেখড়ি শুরু হয়, তার ই সুযোগ্য সন্তান সজিব ওয়াজেদ জয় এর হাত ধরে। ’বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ। ১২ মে ২০১৮ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় যোগ হয় বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন,যা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।

বিরাট এক পরিবর্তন ও ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে চলছে। সরকারের ডিজিটাল সেবা a2i, গত এক দশক ধরে নাগরিকদের নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ডিজিটাল সেবা দিয়ে জনগণের সাথে আছে ডিজিটাল সেন্টার। সারাদেশে ৭ হাজারের অধিক সেবা কেন্দ্রে শতাধিক সরকারি ও বেসরকারি সেবা, উদ্যোক্তা তৈরি-সহ ৫৫ কোটির অধিক নাগরিক সেবা নিশ্চিত করছে ডিজিটাল সেন্টার, ২৯০ টির অধিক সরকারি বেসরকারি সেবা নিশ্চিত হয়েছে, নারী উদ্যোক্তা প্রায় ৫ হাজার, স্বাবলম্বী হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার উদ্যোক্তা। দেশ জুড়ে সর্বত্র এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুফল পাচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণ। এভাবেই তথ্য প্রযুক্তিতে স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। (তথ্য সূত্র ইন্টারনেট)

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated