ফাহাদ, সোনারগাঁ :নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রায় ৭ কোটি টাকার ব্যয়বহুল উন্নয়ন প্রকল্পেও কাজের গাফিলতি চোখে পড়ছে। মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় সিএনজি স্টেশনের পাশের অংশে প্রায় ৯-১০ ফিট রাস্তা ঢালাই না দিয়েই কাজ শেষ করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। অটোরিক্সা সিএনজিওয়ালাদের গাড়ি পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় সোনারগাঁ থানা রোডের নামের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি এখন জনদুর্ভোগ রোড নামে পরিচিত হয়ে গেছে। এ রোডে পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত অটো রিক্সা ও সিএনজি থাকার কারণে এবং সিএনজি অটো রিক্সার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় রাস্তার উপরেই পার্কিং ও যাত্রী উঠা -নামার কারণে লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। পাঁচ মিনিটের রাস্তা লেগে যায় ৩০ মিনিট।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, কোটি কোটি টাকার বাজেটের কাজেও যদি সামান্য জায়গা বাদ দিয়ে কাজ শেষ দেখানো হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি থেকেই যাবে। স্থানীয়দের প্রশ্ন—“এই কাজটুকু করবে কে? আবার কি নতুন বরাদ্দ দিতে হবে ঠিকাদারকে?” এই অবশিষ্ট কাজের জন্য অকেজো হয়ে পড়েছে ড্রেন ও যানবাহন চলাচল। কাদা মাটি জমাট হয়ে পরিবেশ দূষিত হয়েছে। অবশিষ্ট অংশের জন্য প্রবেশ মুখ অচল হওয়ার পথে।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াতের ব্যবস্থাটি এখন অচল বললেও চলে। পাঁচ মিনিটের রাস্তা পারাপার হতে হয় ৩০ মিনিটে। থানা রোডের প্রবেশ মুখ থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছাতে হলে সর্বনিম্ন সময় লাগে ১০ মিনিট, সেখানে জরুরী সেবায় ঘন্টাতেও পৌঁছাতে পারেনা সেবা গ্রহীতারা। বিষয়টি অবাক হলেও সত্য, কারণ রাস্তার উপরে যখন সিএনজি অটো রিক্সার স্ট্যান্ড হয় সেখানে তো লাগার কথাই।
রোডস এন্ড হাইওয়ে ও উপজেলা প্রশাসনের জনদুর্ভোগ নিরসনের নামে উচ্ছেদ অভিযানটি যেন ফরমালেটি। দফায় দফায় উচ্ছেদ অভিযানটি চালিয়ে আরো যেন দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে কর্তৃপক্ষ। বেহাল অবস্থায় পরিণত হয় সোনারগাঁ মোগরাপাড়া চৌরাস্তা। স্থানীয় ব্যবসায়িক ও ফুটপাত ওয়ালারা বলেন, এ যেন চোর পুলিশের খেলা। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলেই ফুটপাত ব্যবসায়ীরা গাঁ ঢাকা দেয়। পুলিশ চলে গেলে আবারও সেই আগের অবস্থানে ফিরে আসে ফুটপাত ও অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। ফলে জনদুর্ভোগ ফিরে আসে আগের জায়গাতেই। এভাবেই চলছে চোর পুলিশের খেলা গত এক বছর যাবত। তবে ফলাফল শূন্য।
এ বিষয়ে, রোডস এন্ড হাইওয়ের প্রকৌশলী আ: রহিম বলেন, নিয়ম তান্ত্রিক যতটুকু সরকারিভাবে স্কিম দেওয়া হয়েছে ,
সে অনুযায়ী হয়েছে, অসম্পূর্ণটির কাজ করা যায় কিনা সেটি চেষ্টা চলছে। তবে এলাকাবাসী বলছেন, এ ধরনের কাজ উন্নয়নের নামে জনগণের সাথে প্রতারণার শামিল। তারা দ্রুত অসম্পূর্ণ অংশটুকু সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন।