মেট্রোরেল নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি ৬২ শতাংশ

Share the post

রাজধানীর দিয়াবাড়ির অস্থায়ী জেটিতে চলছে স্বপ্ন বোনার কাজ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চলে মেট্রোরেলের প্রথম কোচটি পৌঁছায় ডিপোতে। ১৯টি ধাপে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে দেয়া হবে চূড়ান্ত ছাড়পত্র। এদিকে, ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুশি শ্রমিকরাও।ঘড়ির কাটায় তখনও বৃহস্পতিবার সকাল আটটা হয়নি। তবে দিয়াবাড়ীর অস্থায়ী জেটিতে তখন চলছে স্বপ্ন বোনার কাজ।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় দিয়াবাড়ীর অস্থায়ী জেটিতে গিয়ে দেখা যায় শ্রমিকরা ব্যস্ত মেট্রোরেলের কাজ নিয়ে। চলছে স্বপ্ন বোনার কাজ। দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান শেষে দিয়াবাড়ীর জেটিতে দেশের প্রথম মেট্রোরেলের কোচ।

প্রথম দফায় খুব সতর্কতার সাথে শুরু হয় কার্যক্রম। প্রায় ঘণ্টাখানিক বাদে বিশেষ প্রক্রিয়ায় লিফ্টিংবারের মাধ্যমে তোলা হয় অস্থায়ী জেটিতে রাখা কার্গোতে। আর এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা হয় কোচের গায়ে কোন স্পর্শ ছাড়াই।

পরে লরিতে করে যাত্রা শুরু হয় মূল গন্তব্যের দিকে। ডিপো এলাকায় প্রবেশ করতেই ক্ষণিকের জন্য যেব বন্ধ হয়ে যায় সব কাজ। সব শ্রমিক মুহূর্তের বিরতি দিয়ে সাক্ষী হলেন ইতিহাসের। খুব সাবধানে ডিপোর শেডে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীবাসীর দীর্ঘ প্রতিক্ষার ফলস।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতু ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের সবশেষ সার্বিক অগ্রগতি ৬১.৪৯ শতাংশ । প্রথম পর্যায়ের নির্মাণের জন্য নির্ধারিত পূর্ত কাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৩.৫২ ভাগ।

সেখানে ১৯টি ধাপে সমন্বিত পরীক্ষা শেষে ছাড়পত্র মিলবে জাপানের কাওয়াসাকির তৈরি দেশের প্রথম মেট্রোরেলের। সেক্ষেত্রে এই মেট্রোরেল যানজটে নাকাল ঢাকার গতি ফিরিয়ে আনবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘মেট্রোরেল নির্মাণের ফলে যানবাহনের গতি তো বাড়বেই পাশাপাশি নিরাপদ এবং সময় মতো যানজট এড়িয়ে চলাচলের একটা নতুন উপলক্ষ্য আমরা পেয়ে যাব। এটার কারণে আমাদের সেই শক্তি এবং সাহস যদি তৈরি হতে হবে। তাহলে অবশ্যই ৫ থেকে ৮ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ এই নগর সভ্যতায় এবং নগরায়নে গণপরিবহণ নিয়ে আর ভাবতে হবে না।’

পাশাপাশি সড়কে সমন্বয় আনতে পারলেই সুফল মিলবে বলেই মত এই নগরবিদের।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated