মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের চুল কাটা ঘটনায় শিক্ষক গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসার ৭ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় মামলা করেছেন এক অভিভাবক। শনিবার মাদ্রাসা শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরকে আসামি করে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন নির্যাতিত এক ছাত্রের মা। এরই মধ্যে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে ওই শিক্ষককে।
আর এ ঘটনায় শিক্ষক মঞ্জুরুলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত শিক্ষক জামায়াতের রাজনীতির সাথেও জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে।রায়পুরে হামছাদী কাজির দিঘীরপাড় আলিম মাদ্রাসায় বুধবার দশম শ্রেণির ক্লাসের সময় ৭ ছাত্রের চুল কেটে দেন শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির। পরে ক্লাস না করেই বেরিয়ে যায় ওই শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হন।অভিযুক্ত শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির এর আগেও একাধিক নাশকতার মামলায় জেল খেটেছেন। আর এসব কারণে আগেও মাদ্রাসা থেকে সাময়িক বরখাস্ত হন তিনি।স্থানীয় বামনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির। তিনি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সবসময় দলীয় প্রভাব বিস্তার করেন। তার ভয়ে অন্য শিক্ষকরাও নিরুপায়। মঞ্জু সরকারবিরোধী আন্দোলনে জ্বালাও-পোড়াও মামলায় একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।অভিযুক্ত শিক্ষকের স্বজনদের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার মঞ্জুরুল কবির। সামনে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার কথা রয়েছে তার।
এদিকে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।উল্রেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর শাহজাদপুরের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেন। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় হয়। অপমান সইতে না পেরে এক শিক্ষার্থী ছাত্রাবাসে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।