ভাসানচরের পথে ১৭’শর বেশি রোহিঙ্গা
পঞ্চম দফার দ্বিতীয় ধাপে আজ ভাসানচরে পথে ১ হাজার ৭শ’ ৫৯ রোহিঙ্গা। বৃহস্পতিবার সকালে নৌবাহিনীর ৫টি জাহাজ রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রামের বোট ক্লাব ঘাট থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এরআগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাহাজে তোলার জন্য বোট ক্লাব ঘাটে নেয়া হয় তাদের।
রাতে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের নেয়া হয় চট্টগ্রামে। রাখা হয় চট্টগ্রামের বিএএফ শাহীন কলেজের ট্রানজিট ক্যাম্পে।
গতকাল পঞ্চম দফার প্রথম ধাপে ভাসানচর পৌঁছায় আরো দুই হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গা। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া নৌবাহিনীর ছয়টি জাহাজে বিকেল ৪টায় ভাসানচরে পৌঁছান তারা।এর আগে চার দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে ৯ হাজার ৫শ ৪০ জন রোহিঙ্গার আবাসন নিশ্চিত করা হয়। গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে নেয়া হয় ভাসানচরে। এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে যান ১ হাজার ৮০৫ জন ও তৃতীয় ধাপে দুইদিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন ২ হাজার ১৪ জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আরো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান নিয়েছিলো। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ লাখ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।