বাহরাইনে ইসরায়েলির দূতাবাস উদ্বোধন

Share the post

এদিন সন্ধ্যায়ই তিনি নিজ দেশে ফিরে যান। তাকে বহনকারী বিমানটির নাকের ওপরে জলপাই পাতার শাখা আঁকা ছিল।গেল বছর দুদেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার পর এই প্রথম কোনো ইসরায়েলি শীর্ষ কর্মকর্তার উপসাগরীয় দেশটিতে সফর। এ সময়ে বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল-খলিফা ও প্রধানমন্ত্রী যুবরাজ সালমান বিন হামাদ আল-খলিফার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও তার বৈঠক হয়েছে। রাজধানী মানামায় তিনি একটি ইসরায়েলি দূতাবাস উদ্বোধন করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।বাদশাহর সঙ্গে বৈঠকের পর ইয়ার লাপিদ বলেন, বাহরাইনের নেতৃবৃন্দ ও অনুপ্রেরণা আমাদের সত্যিকারের সহযোগিতার দিকে নিয়ে গেছে। আমাদের বৈঠকে দুদেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

গেল বছর তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বাহরাইন ও উপসাগরীয় প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত। যৌথ ব্যবসায়িক স্বার্থ ও ইরানভীতি তাদের এক কাতারে নিয়ে এসেছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। পরবর্তীতে সুদান ও মরোক্কোও একইপথ অবলম্বন করেছে।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, দ্বিপাক্ষিকভাবে বাহরাইনকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করছি। এছাড়া অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে উপসাগরীয় দেশটিকে সেতু হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর শান্তিচুক্তি নিয়ে ফিলিস্তিনিরা যারপরনাই নাখোশ। তারা আব্রাহাম চুক্তিকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসাবেই দেখে। তাছাড়া বাহরাইনের বিরোধী নেতারাও এই চুক্তি নিয়ে সমালোচনা করে আসছেন।

২০১১ সালে শিয়া মুসলিম বিদ্রোহ দমন করা দেশ বাহরাইন আব্রাহাম চুক্তি সই করার পর থেকে মাঝে মধ্যেই বিক্ষোভ দেখছে। বৃহস্পতিবারও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে বাহরাইনের কিছু মানুষকে।

বিক্ষুব্ধ লোকজনকে টায়ার পোড়াতে দেখা গেছে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে। ইসরায়েল যদি দখলকরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ছেড়ে দেয়, তবেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা হবে বলে নীতি থেকে সরে এসেছে বাহরাইন ও আমিরাত।

ইয়ার লাপিদের এই সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটির মুখপাত্র হাজেম কাসিম বলেন, ইসলামের পবিত্র স্থান ও ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি অপরাধকে উৎসাহিত করবে এই সফর।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated