বাজিতপুরে কিশোর গ্যাং এর ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র লাদেন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
আকিব হৃদয়, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে কিশোর গ্যাং এর ছুরিকাঘাতে আব্দুল্লাহ আল আকাশ ওরুফে লাদেন (১৬) নামে এক স্কুলছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (১১মার্চ) বিকালে উপজেলার পিরিজপুর বাজারের ব্যবসায়ীবৃন্দ ও দক্ষিণ পিরিজপুর গ্রামবাসী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় মাইন উদ্দিন, আল আমিন, আঙ্গুর মিয়া, শুভ্র ও সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি দক্ষিণ পিরিজপুর নূর মোহাম্মদ সুপার মার্কেট থেকে শুরু করে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে পিরিজপুর বাজারের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে ইনছান মিয়ার মেলায় গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে পূনরায় পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে মানববন্ধন করে তারা।
এ সময় বক্তারা কিশোর গ্যাং এর ছুরিকাঘাতে নিহত কটিয়াদি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল আকাশ ওরুফে লাদেন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। জানা যায়, গত বুধবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে অর্থাৎ গত ১১মার্চ বৃহস্পতিবার ১টার দিকে উপজেলার পিরিজপুরস্থ ঐতিহ্যবাহী ইনছান আলীর মেলায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে উপজেলার সরারচর কৈকুড়ী গ্রামের নূরুল ইসলামের পুত্র মো. সুমন মিয়ার নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং দক্ষিণ পিরিজপুর গ্রামের মো. ইশাদ মিয়ার ছেলে কটিয়াদি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল আকাশ ওরুফে লাদেন (১৮) ও তার চাচাতো ভাই সজিন মিয়া (২০) এর উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় কিশোর গ্যাং এর একাধিক ছুরিকাঘাতে আব্দুল্লাহ আল আকাশ ওরুফে লাদেন ও তার চাচতো ভাই সজিন মিয়া গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর কিশোর গ্যাং লিডার মো. সুমনকে আটক করে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী।
পরে খবর পেয়ে টহল পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীর সহায়তায় আহত দু’জনসহ হামলাকারী মো. সুমনকে উদ্ধার করে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্কুলছাত্র লাদেনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরই মো. সুমনকে আটক দেখায় পুলিশ। পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করে বাজিতপুর থানা পুলিশ। অপরদিকে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আহত সজিন মিয়া। এ ঘটনার পর বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে এবং প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়ে মো. সুমন নামে এক আসামীকে গ্রেপ্তার করে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।