পাবনা ঈশ্বরদীতে ঈদকে পুঁজি করে শপিংমল ও বাজারগুলোতে দৈনন্দিন জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে ।

Share the post

তালুকদার রাসেল,বিশেষ প্রতিনিধি,পাবনা: করোনা মহামারীর মধ্যেও সরকার ব্যবসায়ীদেরকে জীবনযাত্রার মান ঠিক রাখার উদ্দেশ্যে মার্কেট ও শপিংমলগুলো সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার নির্দেশ দেয় শর্ত অনুযায়ী। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দৈনন্দীন জীবনে ঈদ বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অধিক লাভের আশায় আকাশচুম্বী বিক্রয় করছেন। মানুষের সাজসজ্জার জন্য প্রয়োজন হয় অনেক পোশাকসহ প্রসাধনী। এরই সুযোগ নিয়ে ঈশ্বরদী বাজার ও শপিংমল গুলোতে উচ্চমূল্যে বিক্রি হতে দেখা যায় বিভিন্ন দোকানগুলো ঘুরে। অনেক ক্রেতাদের অভিযোগ নির্দিষ্ট দামের চেয়েও অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে জুতা, পোশাকসহ অনেক পণ্য। কিন্তু বিক্রেতারা বলছেন লকডাউন এর কারণে অনেক মালামাল তাদের বেশি দামে কিনতে হয়েছে এবং খরচ বেশি হয়েছে। তাই তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেক ক্রেতা বলছেন, অনেক দোকানি অল্প দামের পণ্য অধিক দামে বিক্রি করে সাধারণ ক্রেতাদের ধোঁকা দিচ্ছে। এমনই একজন ভুক্তভোগী ক্রেতা বলছেন। বাচ্চাদের জুতার চওড়া দাম। যেমন ঈশ্বরদীর লাকী সু (জুতা স্যান্ডেলের) দোকানে যে জুতা ৮৫০ টাকা। পাশের অন্য দোকানে সে জুতা ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জুতার ভেতরে এক কোম্পানীর নাম লিখা আর জুতার সাথে অন্য কোম্পানীর নাম লেখা। কাগজে মূল্য বসানো আছে ৮৫০ টাকা। এটা যাচাই করে দেখার পর কার না খটকা লাগবে। এমনই ভাবে তিনি লাকী সু (জুতা স্যান্ডেলের) দোকানে গিয়ে এমন পরিষ্হিতির শিকার হয়েছেন। অসাধু কিছু দোকানি ব্যবসায়িক ঈদকে পুঁজি করে, পোশাক, প্রসাধনী, জুতা সহ বিভিন্ন পণ্য অধিক দামে বিক্রি করছে। এতে করে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে থাকায় অনেক পণ্যই তারা কিনতে পারছে না। আবার যারা কিনছেন অনেকটা বাধ্য হয়ে অধিক দামে কেনাকাটা করতে দেখা যায়। তাই সাধারণ ক্রেতারা প্রশাসনের কাছে বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated